মোঃইউসুফ মিয়া : [২] ভারতের সরকার হটোকারী সিন্ধান নিয়ে হঠাৎ করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় পিয়াজ চাষিদের মুখে হাসিখুশি রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার প্রান্তিক লাখো পেঁয়াজ চাষি।
[৩] গত দুই দিন আগেও যে পেঁয়াজের পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা। সেই পেঁয়াজের মুল্য বর্তমান বাজারে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি রাজবাড়ীর এই অঞ্চলের কৃষকেরা।
[৪] এ জেলার রাজবাড়ীর সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের বাজার বালিয়াকান্দির বহরপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পেঁয়াজ কেনার জন্য ব্যবসায়িরা এসেছেন।এবব পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ উৎফুল্ল মেজাজে রয়েছেন জেলার কৃষকেরা ।
[৫] পেঁয়াজ বিক্রেতা কৃষক মোঃ মাহাবুল মন্ডল বলেন, এবার আমরা জমিতে যে পেঁয়াজ পেয়েছিলাম তার বেশির ভাগই বিক্রি করে দিয়েছি ৯০০থেকে ১২০০টাকা করে। এখন ঘরে খুব অল্প পিয়াজ রয়েছে। আমরা চাই পেঁয়াজের দাম যেন সব সময়ই এ রকম থাকে। তাহলে আমরা কৃষকেরা উপকৃত হবো। সবাই পেঁয়াজ চাষের দিকে ঝুঁকবে। আমরা চাই ভারতের পেঁয়াজ আমাদের দেশে না ঢোকে।
[৬] বহরপুর বাজারের একাধিক আড়তদাররা বলেন, গত দশ দিন আগে পেয়াজ কিনেছি ১৩০০শত ১৫ শত টাকায় দুইদিন আগেও আমরা পেঁয়াজ ২০০০ থেকে ২২০০শত টাকা দরে মন কিনেছি। কিন্তু আজ সকাল থেকেই হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আজ ৩২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা দরে মন কিনেছি।
[৭] রাজবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মোঃ বাহাউদ্দিন বলেন,রাজবাড়ীতে গত মৌসুমে ৩২ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। যা উৎপাদনের দিক দিয়ে দেশের মধ্যে তৃতীয়তম জেলা এটি। রাজবাড়ীর কৃষকের ঘরে এখনো ৩০ % থেকে ৪০% পেঁয়াজ সংগ্রহে প্রতি কৃষকের ঘরে আছে বলে তারা ধারণা করছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :