বাবুল আক্তার: [২] যশোরের চৌগাছায় ৭২ ঘণ্টায় ব্যবধানে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
[৩] বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও এই পণ্যটির দাম হু হু করে বাড়ছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার শহরের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
[৪] করোনার কারণে অনেকেরই আয় কমেছে। এই সময়ে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।
[৫] শহরের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার দেখার বোধ হয় কেউ নেই। দুইদিন আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। এখন সেই পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।’
[৬] শহরের পারবাজারের সবজি বিক্রেতা জয়নুর বলেন, ‘মোকামে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। সেখান থেকে ৯০ টাকা দরে এনে ১০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করছেন তিনি।’ একই বাজারের ব্যবসায়ী তারেক রহমান বলেন, ‘ভারত হঠাৎই পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ’
[৭] পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি ও রপ্তনী বন্ধ করে দেওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দুইদিন আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর একই সময়ে প্রতিকেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
[৮] পেঁয়াজ ছাড়াও সব ধরনের সবজি, সবজি, তেল, আলু, ব্রয়লার মুরগি, আদা ও দারুচিনির দামও কিছুটা বাড়তি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২২ টাকা কেজি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। কেজিতে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৫/৭ টাকা।
[৯] এদিকে শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও দাম রয়েছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বুধবার শিমের কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০টাকা, বেগুন ৬০ টাকা লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা। কাচা মরিজ ২০০ টাকা, পাকা টমেটোর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :