মহসীন কবির : [২] ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯০ হাজার ১২৩ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৫০ হাজার ৯৫৬ ও ৩৬ হাজার ৬৫৩ জন। আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতের দৈনিক সংক্রমণ অনেক বেশি। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
[৩] বুধবার ৯০ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৫০ লক্ষ ২০ হাজার ৩৫৯ জন। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ৬৬ লক্ষ ৪ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ৪৩ লক্ষ ৮২ হাজার।
[৪] মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটক— দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে এগিয়ে এই তিনটি রাজ্য। তবে এই তিন রাজ্যেই দৈনিক আক্রান্ত গত কয়েকদিনের তুলনায় কমেছে। মহারাষ্ট্রে ২০ হাজারেই বন্দি রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশেও ১০ হাজারের থেকে কমেছে। গত ক’দিন ধরে কর্নাটকেও তা সাড়ে সাত হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে প্রায় সাত হাজার হয়েছে। দিল্লিতে ফের চার হাজারের উপরে উঠেছে। বিহারে সংক্রমণ আশ্চর্যজনক ভাবে ৫০০তে নেমে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা একই আছে। কিন্তু ওড়িশা ও ছত্তীসগঢ়ে দৈনিক সংক্রমণ আজও লাগামছাড়া। কেরল, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলির দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে।
[৫] ভারতে মোট ৮২ হাজার ৬৬ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ৩০ হাজার ৪০৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার জনের। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৮১। অন্ধ্রপ্রদেশেও মোট মৃত আজ পাঁচ হাজার ছাড়াল। দেশের রাজধানীতে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৮০৬। উত্তরপ্রদেশ (৪,৬০৪), পশ্চিমবঙ্গ (৪,০৬২), গুজরাত (৩,২৪৪) ও পঞ্জাব (২,৫১৪) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ (১,৮২০), রাজস্থান (১,২৬৪), হরিয়ানা (১,০২৬), তেলঙ্গানা (৯৯৬) ও জম্মু ও কাশ্মীরে (৯১৪) মোট মৃত্যু বেড়ে চলেছে। এর পর তালিকায় রয়েছে বিহার, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, অসম, কেরল, উত্তরাখণ্ড, পুদুচেরী, গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলি।