কামরুল হাসান মামুন: খিচুড়ি রান্না শিখতে এক হাজার কর্মকর্তাকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব। বিল্ডিং দেখতে বিদেশ যাবেন ৩০ কর্মকর্তা, খরচ ২ কোটি টাকা। এসব নিয়ে আর কতো পত্রিকায় রিপোর্ট হবে? এসব নিয়ে আর কতো স্ট্যাটাস দেবো? মানে লজ্জারও তো লজ্জার একটা সীমা আছে। আমলারা তো দেখি সেই সীমার ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। সবাইকে ফাঁকি দিতে পারলেও নিজেকেতো ফাঁকি দেওয়া যায় না। নিজেতো জানে এইগুলা কতো বড় অন্যায়! এরা তাদের স্ত্রী কন্যাদের মুখ দেখায় কীভাবে? আমার তো মনে হয় আমি যদি খারাপ হই আর সেটা যদি তারা জানে জীবনটা যে ষোলো আনাই মিছে হয়ে যায়।
প্রজেক্ট মানেই যেন বিদেশ ভ্রমণের একটি অংশ রাখতে হবে। প্রজেক্ট মানেই যেন কোটি টাকা দামের গাড়ি কেনার একটি অংশ রাখতেই হবে। এমনিতেই আমাদের শিক্ষায় বরাদ্দ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। গরিব শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করার প্রকল্প। সেখান থেকেও এসব অপ্রয়োজনীয় খাতে টাকা খরচ করে অপচয় করতে হবে? আরে খিচুড়ি রান্না যদি শিখতেই হয় বিদেশে না গিয়ে আমার কাছে আসেন। বিনামূল্যে খিচুড়ি রান্না শিখিয়ে দেবো। আমার রান্না খিচুড়ি সুপার্ব হয়! এইটা আমার স্ত্রী-কন্যা সার্টিফাইড।
PS: আমলারা এতো ক্রিয়েটিভ হলেন কীভাবে? আই মিন বিদেশ ভ্রমণের এতো এতো অজুহাত আর আইডিয়া পান কীভাবে? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :