শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েল-আমিরাত বাহরাইন : অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যের ‘শান্তি চুক্তি’ হোয়াইট হাউসে সম্পন্ন

ডেস্ক রিপোর্ট : স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনি জনগণের কয়েক দশকের সংগ্রামকে পাশ কাটিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চুক্তি করলো বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তিন দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক চুক্তি সই  হয়।

বিবিসি বলছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর কৌশলগত সখ্যতার বিষয়টিও আরও স্পষ্ট হবে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে নাটকীয় একটি মাসের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে; যে মাসে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কয়েক দশকের বিরোধ নিষ্পত্তি ছাড়াই প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পরে বাহরাইন তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়।

ট্রাম্পের উদ্যোগে আয়োজিত গতকালের অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ আল জায়ানি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করবেন।

এ চুক্তির মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিসর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরোধিতা ও তীব্র প্রতিবাদের মুখেও মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দুটি আরব দেশের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা ট্রাম্পের অভাবনীয় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রেসিডেন্ট তার মেয়াদের পুরোটা সময়জুড়েই এ ধরনের কূটনৈতিক সফলতা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।

এ জন্য উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে কয়েক দফা সাক্ষাৎও করেছেন তিনি, যদিও পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে কার্যকর কোনো সমাধানে তিনি পৌঁছতে পারেননি।

ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের ‘শান্তি চুক্তি’ ৩ নভেম্বর হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইসরায়েলপন্থি অ্যাভেঞ্জেলিকাল খ্রিস্টানদের ভোট টানতেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। রিপাবলিকান ঘাঁটিগুলোতে জয় নিশ্চিত করতে এ ভোটারদের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়