আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছেন ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এর ২১১ জন ব্যক্তি ও ১০৭টি প্রতিষ্ঠান। এটি শান্তিতে নোবেল মনোনয়নের ইতিহাসে ৪র্থ সর্বোচ্চ সংখ্যা। সর্বোচ্চ ৩৭৬ জন মনোনিত হয়েছিলেন ২০১৬ সালে। মনোনয়নদানে যোগ্য যে কোনও ব্যক্তি, যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মনোনিত করতে পারে। তবে কমপক্ষে ৫০ বছর আগে নোবেল কমিটি মনোনয়নদাতা বা মনোনয়ন প্রাপ্তের নাম প্রকাশ করে না। অর্থাৎ এ বছর কারা কারা নোবেল মনোনয়ন পেয়েছেন সেটা নোবেল কমিটি আর মনোনয়নকারী বাদে আর কারও জানার সুযোগ নেই। যারা শান্তিতে নোবেলের জন্য প্রার্থীকে মনোনিত করতে পারেন তারা হলেন-
[৩] কোনও স্বাধীন দেশের পার্লামেন্ট সদস্য, মন্ত্রীসভার সদস্য বা সরকার প্রধান।
[৪] হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক শালিশি আদালতের সদস্য।
[৫] ইন্সটিটিউট অব ড্রয়েট ইন্টারন্যাশনালের সদস্য।
[৬] ইন্টারন্যাশনাল বোর্ড অব ওম্যানস ইন্টারন্যাশনাল লিগ ফর পিস অ্যান্ড ফ্রিডমের সদস্য।
[৭] বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, সামাজিক ব্ঞিান, আইন, দর্শন, থিওলজি এবং ধর্মের অধ্যাপক, প্রফেসর এমিরেতস, সহযোগী অধ্যাপকবৃন্দ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর এবং পরিচালক ও পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, ফরেন পলিসি ইন্সটিটিউট সমূহের পরিচালকবৃন্দও মনোনয়নে অংশ নিতে পারে।
[৮] শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।
[৯] শান্তিতে নোবেল পাওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালকবৃন্দ।
[১০] নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সাবেক ও বর্তশান সদস্যবৃন্দ।
[১১] নোবেল কমিটির সাবেক উপদেষ্টাবৃন্দ।
[১২] তবে মনোনিত হবার কোনও বিশেষ যোগ্যতা নেই। উপরিক্ত ব্যক্তিগন যে কাউকে মনোনিত করেন।
[১৩] ২০২১ সালের পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এক নরওয়েজিয়ান এমপি মনোনিত করেছেন বলে তিনি নিজে জানিয়েছেন, তবে নোবেল কমিটি এ ব্যাপারে কিছু বলেনি।
[১৪] মঙ্গলবার বেশ কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে বাংলাদেশি আামেরিকান বিজ্ঞানী ড. রুহুল আবিদ ও তার প্রতিষ্ঠান হাইফাকে ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত করেছেন।
[১৫] এই তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রফেসর জিয়ান-ফিলিপ বিয়েলিউ। তবে নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কাউকে মনোনিত করতে পারে না। তবে প্রফেসর বিয়েলিউ নিজে সে অধিকার সংরক্ষণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :