শিমুল মাহমুদ: [২]করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কা সামলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রাক্কলণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
[৩]বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ বিবৃতিতে বলেন, মহামারীর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মহামারীর ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য খাতে বিপুল চাপের পরও সরকার যথাযথ প্রণোদনা ঘোষণা এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়িয়ে, দারিদ্র ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা নিয়ে অর্থনীতিকে ভালোই সামাল দিয়েছে।
[৪] রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে সাম্প্রতিক ইতিবাচক ধারা এবং বিদেশি তহবিল সংগ্রহের পাশাপাশি সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাস্তবায়নের ফলেই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন পারকাশ।
[৫] তিনি আরো বলেন, রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের উন্নতি দেখে আমরা উৎসাহ পাচ্ছি। আমরা আশা করছি, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই ধারা টেকসই হবে। তার তা করা গেলেই প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।
[৬] সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসের টিকা যদি আগে পাওয়া যায় এবং মহামারীতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা যদি অব্যাহত রাখা হয়, তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই ধারাকে টেকসই করতে ‘সহায়ক হবে’ বলে মনে করছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর।
[৭] বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সঙ্কট সম্পদের বণ্টন, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা জোরদারে আরও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযাগও তৈরি করে দিয়েছে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করতে এডিবি সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
[৮] মঙ্গলবার প্রকাশিত এডিবির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের সেপ্টেম্বর আপডেটে এই পূর্বাভাস এসেছে।
[৯] ২০১৯-২০ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। তবে মহামারীর সঙ্কটে রপ্তানি আয় যতটা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত পিরিস্থিতি ততটা খারাপ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :