শিমুল মাহমুদ: [২] হঠাৎ করে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে স্বল্প আয়ের মানুষদের কম টাকায় সরবরাহের জন্য টিসিবি ট্রাকে করে এই পণ্য বিক্রি শুরু করলেও তাতে সবার চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। নির্ধারিত স্থানে ট্রাকগুলো দাঁড়ানোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দৈনিক বরাদ্দের পেঁয়াজ ফুরিয়ে যাচ্ছে।
[৩] রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত স্থানে টিসিবির ট্রাকের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন ২০-৩০ জন ক্রেতা। পেঁয়াজের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।
[৪] লাইনে অপেক্ষমাণ ষাটোর্ধ্ব একজন ক্রেতা বলেন, আমি পেঁয়াজসহ সব ধরনের পণ্যই কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এসে দেখি আসল পেঁয়াজই নেই। এখন বাধ্য হয়ে কেবল চিনি, ডাল ও সয়াবিন তেল নিয়ে ফিরছি।
[৫] ট্রাক সেলের দায়িত্বে থাকা জামান ট্রেডার্সের একজন কর্মী জানান, এখন প্রতি ট্রাকে ৬০০ কেজি চিনি, ৫০০ কেজি ডাল, ৮০০ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩০০ কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে। সকাল ১১টায় ট্রাক আসার এক ঘণ্টার মধ্যেই পেঁয়াজ শেষ হয়ে গেছে। একজন ক্রেতা প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে পারছেন।
[৬] টিসিবি জানায়, ট্রাকসেল থেকে একজন ক্রেতা ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়া চিনি ও মশুর ডাল ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে দুই লিটার থেকে পাঁচ লিটার কিনতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :