শিরোনাম
◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:২৩ সকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাজী হানিয়াম মারিয়া: চিপাবুদ্ধির কারণে ক্রিকেট খেলা হয়ে উঠেছে পোশাক আর নারীবাদের গল্প!

কাজী হানিয়াম মারিয়া: বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় আমি এবং আমার কলিগ সাইকেল চালাতাম। আমরা পাড়ার ভেতর থেকে বের হতাম না। কারণ ফুলার রোড়ের রাস্তায় বাইক রেস হতে, প্রাইভেট কারগুলোর গতিও অনিয়ন্ত্রিত থাকতো। আর বহিরাগতদের ঢল তো থাকতোই। ডিপার্টমেন্ট থেকে ফিরে সন্ধ্যায় আমরা বাসায় যে ড্রেসে থাকতাম সে ড্রেসেই চালাতাম। অবশ্যই সেই ড্রেস বাইরে পরে যাবার মতো থাকতো। আমার কলিগ কিন্তু শাড়ি পরেও সাইকেল চালাতো। এখনতো রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে আমি আরও দুজনকে দেখলাম সালোয়ার-কামিজ পরে সাইকেল নিয়ে রাস্তায় চালাচ্ছে। এখানে সাইকেল চালাতে ভাল লাগাটাই মূল বিষয় ছিলো, পোশাকটা নয়।

ছেলের সাথে মায়ের ক্রিকেট খেলার যে ছবি ভাইরাল হয়েছে সেই ছবিটা দেখে আসলে কি মনে হতে পারে? ফাঁকা মাঠ পেয়ে বড় মানুষ যারা অনেকদিন দৌড় দেয়না তারাও কিন্তু দুহাত মেলে একটা দৌড় দেয়! ছবি দেখে আমার মায়ের ছেলের প্রতি কেয়ারিং মনোভাব জাতীয় কিছু মাথায় আসার আগে ছেলেবেলার স্মৃতি মনে হয়েছে। মায়েরও হয়তো তাই। ট্রেনার নেই, হয়তো ছেলের আবদারে কিছুক্ষণ খেলে নিলেন। উনি তো মাঠে খেলতে যাননি বা তারা দুজন কোনো ম্যাচও খেলছিলেন না যে ড্রেস কোড মানতে হবে। ক্রিকেটের নিয়ম মানছিলেন কিনা সেটা বোদ্ধারা বলতে পারবেন। আপাতদৃষ্টিতে সহজ সাধারণ মা-ছেলের খেলা। একটি সুন্দর সকাল যেখানে মা তার ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন। হয়তো ছেলের সাথে আউট হওয়া নিয়ে বাদানুবাদও করেছিলেন। কিন্তু চিপা বুদ্ধির লোকের কারণে তা হয়ে উঠেছে পোশাক আর নারীবাদের গল্প! ভাগ্যিস ওই মা এতোকিছু চিন্তা করেননি, খেলতে নেমে গেছেন এবং আনন্দ করেছেন। আমাদের ব্যস্ত জীবনে এটাই দরকার।

যারা পোশাকটিকে ভালো বলে ভাইরাল করছেন তারাও চিপাবুদ্ধির, আর যারা পোশাকের সমালোচনা করছেন তারাও চিপা বুদ্ধির! যার যার পোশাক তাদের নিজেকেই বেছে নিতে দিন। পোশাক ব্যক্তির নিজের পছন্দের হতে হয়। আপনি বা আমরা বা পরিবার বেছে দিতে পারি না। পরিবেশ, অনুষ্ঠান বা জায়গাভেদে পোশাক ভিন্ন হতে পারে। সমাজ এবং ধর্ম আমাদের শালীন আর অশালীনের মাত্রা ঠিক করেও দিয়েছে। তারপরও সবকিছু ছাপিয়ে কে কী পরবে তা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। নারীর আত্মসম্মান যেমন পোশাকে নয়, তেমনি নারী জীবনের স্বার্থকতাও যথাযথ পোশাক পরিধান বা কোনো বাহন চালাতে পারলেই হয় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়