মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী: আসল সমস্যাটা কোথায়? বোরখায় না আবহমান কালের বাঙালিয়ানায়? এবার প্রশ্ন ‘আবহমান কালের বাঙালিয়ানা’ কোনটা? ব্যাপারটা কি এমন যেটা এতো কাল ধরে সাধারণভাবে বাংলাদেশে চলে আসছে? তো বাংলাদেশে তো একসময় কালচার ছিলো মেয়েরা সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে যাবে না। মেয়েদের পনেরো বছর হইলে বিয়ে দিয়ে স্বামীর ঘরে পাঠাইয়া দিতে হবে। মেয়েরা চাকরি করতে পারবে না। তারও আগে ছিলো সতীদাহ প্রথা। আমরা তো সেসব কালচাররে ঝাড়ু পিটা কইরা তাড়াইয়া দিছি। নাকি? তার মানে আবহমান কালের বাঙালিয়ানাটা ধইরা না রাখলেও আমাদের মধ্যবিত্ত কালচারাল পুলিশদের সমস্যা নাই। সমস্যা কি তাইলে বোরখায়? কারণ এটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে? তো আমরা কি বাইরের কিছু নেবো না? তাইলে তো সালওয়ার কামিজ, প্যান্ট-শার্ট, শর্ট এগুলাও আমাদের বাতিল করতে হয়! নাকি? এক সময় এই বাকোয়াজ পাহারাদারগুলা রক-পপ মিউজিকরে অপসংস্কৃতি বইলা চুঙ্গা ফুঁকাইছিলো দিনের পর দিন! আবহমান শুনলেই তাই আমি চশমার ফাঁক দিয়া একটু ভালো কইরা তাকাইয়া দেখি।
আমার অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে কোনোটাতেই সমস্যা নাই। বোরখাতেও নাই, বিকিনিতেও নাই। যতোক্ষণ পর্যন্ত জবরদস্তি না হচ্ছে। আগেও বলছি, যে হুজুর ফতোয়া দেয় নারী প্যান্ট-টি শার্ট পরতে পারবে না, হেন করতে পারবে না, তেন করতে পারবে না, তার সাথে আমাদের কিছু লিবারেলদের খুব পার্থক্য পাই না, যখন তাদের বোরখা নিয়া ফতোয়া শুনি। তখন আমার ইনাদের একেকজন সেক্যুলার আমির হামজা মনে হয়!
আমাদের পরের প্রজন্ম এসব পেটি এবং ফালতু জ্ঞানালাপ থেকে আশা করি দূরে থাকবে। তাদের মন চাইলে শর্ট পইরা ঘুরবে, মন চাইলে আপাদমস্তক ঢাইকা ঘুরবে। তার গা ঢাকা বা খোলা রাখার কারনে তাকে আমরা আলাদা করে জাজ করবো না, বৈষম্য করবো না- এইটুকু আলো আমাদের দাও গো সাঁই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :