শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৩০ সকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম উঁচু হোটেল, ৩৩ বছরেও পড়েনি পা

ডেস্ক রিপোর্ট : আধুনিক বিশ্বে মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিশ্বের অজানাকে জানতে নানা প্রান্তে ছুটে যাচ্ছে সামর্থবান মানুষ। সেই ছুটে চলার মাঝে বসবাসের জন্য প্রয়োজন মানসম্মত হোটেল। তাই মান ভেদে হোটেল নানা স্টারে বিভক্ত হয়েছে। রয়েছে হোটেলের নানা উচ্চতা, যা অ্যাডভেঞ্চার হিসেবে নেন অনেক পর্যটক। তবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেলগুলো সম্পর্কে কতজনই বা জানেন? কারণ সবচেয়ে উঁচু হোটেল সম্পর্কে রয়েছে অবাক করা নানা তথ্য।
স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মতোই বিশ্ববাসীর কাছে অদ্ভূত দেশ উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং শহরে ১০৫ তলা বিশিষ্ট আকাশ ছোঁয়া বিশ্বের অন্যতম উঁচু হোটেলটি অবস্থিত।

এ হোটেলকে বলা হয় ‘হোটেল অব ডোম’। হোটেলটিকে ‘রিগ্যং হোটেল’ ও ইউ-কিউং হোটেল নামে ডাকা হয়। এমনি হোটেলটিকে পিয়ংইয়ংয়ের ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় যে, নির্মাণ শুরুর ৩৩ বছর পরও এখনো কোনো পর্যটকের পা এ হোটেলে পড়েনি।

তিন হাজার কক্ষ ও নান্দনিক পাঁচটি রিভালবিং রেস্টুরেন্ট থাকা নকশা নিয়ে পিরামিড আকৃতির এক হাজার ৮০ ফুট উচ্চতার ১০৫ তলা হোটেলটির নির্মাণ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে।

শুরু দিকে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠা হোটেলের ভবন সবাইকে চমকে দিয়েছিল। কিন্তু শুরুর কয়েক বছর পরই হোটেলটির ভাগ্যে নেমে আসে দুর্ভাগ্যের কালো ছায়া। কারিগরি ত্রুটির ফলে বন্ধ হয় বিশ্বের অন্যতম উঁচুগামী হোটেলের নির্মাণ কাজ।

দুর্ভাগ্য কাটিয়ে আচমকা ১৯৯২ সালে ভবনটি তার উচ্চতা ছুঁয়ে ফেলে। তখন ক্রেন দুর্ঘটনা ও আর্থিক সংকটে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণ কাজ। ওই সময় হোটেলের বাইরের কাজ ভালোভাবেই শেষ হলেও ভেতরের কাজ শেষ হয়নি।

প্রায় দুই দশকের কাছাকাছি সময়ের পর ২০০৮ সালে আবারো ভবনটিতে শুরু হয় নির্মাণ প্রক্রিয়া। কিন্তু হোটেলের সাজসজ্জার কাজ চললেও নানা জটিলতায় আবারো নির্মাণ কাজ থমকে যায়। তাই নান্দনিক নকশায় পরিকল্পিত হোটেলটি সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে ভেস্তে যায়।

এদিকে হোটেলটির কাজটি সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজন প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার। কিন্তু এতো পরিমাণ অর্থ দিতে নারাজ দেশটির সর্বোচ্চ শক্তিশালী নেতা কিম কং উন। কারণ এ পরিমাণ অর্থ যে পিয়ংইয়ংয়ের জিডিপির পাঁচ শতাংশ। আবার জাপানি পত্রিকা হোটেলটির ব্যয় খরচ ধরে সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা দেশটির জিডিপির দু্ই শতাংশ।

২০১১ সালের জুলাইয়ে হোটেল অব ডোমের ভেতরের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়। এমনকি ২০১২ সালের নভেম্বরে পরবর্তী বছরে হোটেলটি উদ্বোধনের ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে নির্ধারিত তারিখে হোটেলটি চালু করা হয়নি। তাই বিশ্বের অন্যতম উঁচু হোটেলে এখনো পা রাখতে পারেননি পর্যটকরা।

হোটেলটি অলস পড়ে থাকায় নতুনত্বের কথা ভেবে দেখে উত্তর কোরীয় সরকার। ২০১৮ সালে ভবনে এলইডি স্ক্রিন যুক্ত করা হয়। যেখানে উত্তর কোরিয়ার নানা উৎসবের সময় ফুটানো হয় আতশবাজি। কিন্তু একই বছরের জুলাই মাসে হোটেলেটির এলইডি স্ক্রিনে অ্যানিম্যাশন ও মুভি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়