আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : [২] বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এবার ধানক্ষেতে পোকা দমনে আধুনিক পদ্ধতি পার্চিং ও আলোক ফাঁদ কার্যক্রম কৃষকদের মাঝে সাড়া জাগাতে পারেনি কৃষি বিভাগ। দুই এক স্থানে পার্চিং ও আলোক ফাঁদ ব্যবহারে ধানক্ষেতের পোকাদমন প্রদর্শনী করা হলেও কৃষকরা তাতে সাড়া না দিয়ে ধান ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে পদ্ধতি ব্যবহার করেই ধান ক্ষেতে পোকামাকড় দমন করছেন। পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতিতে তেমন ফলাফল ও সাড়া না পাওয়ায় তারা ক্ষেতের পোকা দমনে আগের মতো কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকরা বেশি আগ্রহি হচ্ছে।
[৩] জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগন মাঝে মধ্যে কৃষকদের নিকট গিয়ে ধানক্ষেতে পাচিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমনের পরামর্শ ও প্রদর্শন করে। কিন্ত এই আধুনিক পদ্ধতি পার্চিং ও আলোক ফাঁদ কৃষকদের মাঝে তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি। কৃষকরা আগের পদ্ধতি কীটনাশক স্প্রে ব্যবহারে ক্ষেতের পোকা দমনে আগ্রহি রয়েছেন।
[৪] উজ্জলতা গ্রামের কৃষক তবিবর রহমান, কাশিমালা গ্রামের মিজানুর রহমান মিজা, শালগ্রামের আব্দুল খারেক, তেতুঁলিয়া গ্রামের নাছিন মন্ডলসহ অনেক কৃষকরা জানান, ধানক্ষেতে পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষি অফিস কৃষকদের মাঝে তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে না পারায় তারা গতানুগতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে বেশি আগ্রহি।
[৫] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি সুবিধা জনক হলেও কৃষকদের মাঝে সচেতনা সৃষ্টি করতে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক কাজ করে আসছে। সম্পাদনা : ইয়াসিন
আপনার মতামত লিখুন :