সোহেল হোসাইন: [২] মানিকগঞ্জে পৃথক দুটি যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়ে করা মামলায় তিনজনের কারাদণ্ডাদেশ এবং পাশাপাশি অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন।
[৩] কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের জব্বার আলী ও তাঁর স্ত্রী শিল্পী খাতুন এবং সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ গ্রামের লুৎফর রহমান। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত ছিলেন।
[৪] ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুঁলি (পিপি) নূরুল হুদা ওরফে রুবেল জানান, ২০১১ সালে দৌলতপুরের বাঘুটিয়া গ্রামের জব্বার আলীর সঙ্গে একই উপজেলার জিয়নপুর গ্রামের পবন ঢালির মেয়ে লিপি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিপির বাবার কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন জব্বার। এতে রাজি না হওয়ায় লিপির স্বামী ও তাঁর সতীন শিল্পী খাতুন তাঁকে (লিপি) মারধর করেন। পরে ২০১৬ সালে লিপি আক্তার বাদি হয়ে স্বামী ও সতীনের মামলা করেন। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক জব্বারকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। অপর আসামি শিল্পীকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
[৫] এ দিকে ২০১৪ সালে সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ গ্রামের গৃহবধূ চয়না বেগমকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে স্বামী লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ট্রাইব্যুনালে আসামির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় লুৎফরকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
[৬] পিপি নূরুল হুদা বলেন, দুটি মামলায় তিন আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত ছিলেন।সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :