কালীগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রথমবারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপণ করা হলো ধানের চারা। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দূর্বাটি গ্রামে ৪ জন কৃষকের ৪ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চারা লাগানো হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সহযোগীতায় এর আয়োজন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
[৩] জানা গেছে, এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ আবদুর রহমান, আবেদীন ইক্যুইপমেন্ট লিমিটেডের কৃষি প্রকৌশলী রিজওয়ান, উপজেলা কৃষি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শেখ, মো. আক্তারুজ্জামানসহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
[৪] উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা তাসলিম জানান, জানা গেছে, খরিফ-২/২০২০-২০২১ মৌসুমে কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪১৬ টি ট্রেতে নাবী জাতের (বিআর-২২) রোপা আমন ধানের চারা উৎপাদন করা হয় যা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রে সাহায্যে ১৬ বিঘা জমিতে রোপণ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দূবার্টি গ্রামের কৃষক শাহীন ভূঁইয়া, হযরত আলী ভূঁইয়া, আব্দুল মোতালেব ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম সরকারে প্রনোদনা হিসেবে ৪ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়।
[৫] গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম বলেন, এ বছর বন্যার কারণে রোপা আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন অব্যহত রাখার জন্য প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে যা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের যন্ত্রের সাহায্যে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি খামার যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহিত করার জন্য এ কর্মসূচী বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে। সম্পাদনা : আরাফাত