শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আমন রোপণে ব্যস্ত বোরহানউদ্দিনের কৃষকরা

মনিরুজ্জামান: [২] আউশ মৌসুমে ধানের তুলনামূলক বেশি দাম পাওয়া ও করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইনিঞ্চ জমি ফাঁকা রাখা যাবে না,পর্যাপ্ত সার,ঔষধ মজুত থাকায় কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে ঝুকছে আমন আবাদে।এমন বক্তব্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষকের। তবে কৃষকদের মতে, জলোচ্ছ্বাসের আগে যারা আমন চারা রোপণ করেছেন তারা অতিরিক্ত জোয়াঁরের প্লাবনে কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন।

[৩] বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি বছরে এ উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৮ হাজার ৫শ হেক্টর। ইতিমধ্যে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সাথে আলোচনা করলে অধিকাংশ কৃষক চারা সংকটে পুরো জমি আবাধে শংকা প্রকাশ করেন।

[৪] কুতুবা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের চাষি অহিদ সর্দ্দার জানান,আউশ মৌসুমে তিনি ৩ একর জমিতে চাষ করেন।ফলন ও দাম বেশি পাওয়াতে এবার আমন মৌসুমে তিনি ৫ একর জমি আবাদ করেন।তিনি বলেন,সার ,ঔষধে সমস্যা হয় না।তাছাড়া কোন সমস্যার পড়লে কৃষি অফিসার তাকে সহযোগিতা করেন ।বড় মানিকা বাটামারা গ্রামের কৃষাণি সুমাইয়া বেগম বলেন,১৬ কড়া জমিতে তিনি আমন আবাদ করছেন।একই এলাকার রবি আলম বলেন,১০কড়া জমিতে তিনি আউশ ধান করছিলেন।ফলণ খুবই ভালো হয়েছিল।এবার তিনি ৪০ কড়া জমিতে আমন আবাধ করছেন।

[৫] সাচড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্গাচাষি হরজন আলী( ৫৫)জানান,৪ একর জমিতে তিনি বিআর- ২২ জাতের ধান চাষের সিদ্ধান্ত নেন।সেই অনুসারে বীজতলা প্রস্তুত করেন।টানা বর্ষণ আর জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় তার বীজতলা। নষ্ট হয়ে যায় তার অর্ধেক চারা। তবে শেষ পর্যন্ত অনেক কষ্টে চারা সংগ্রহ করে সমস্ত জমি আবাদ করেছেন তিনি।
[৬] টবগী ইউনিয়নের নুর হোসেন হাওলাদার,কাচিয়া ইউনিয়নের উত্তম কুমার দাস,পক্ষিয়া ইউনিয়নের নাছির,হাবিবুল্যাহ জানান,তারা আউশের চেয়ে আমন চাষ বেশি করেছেন।চলতি বছর ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় তারা আমন চাষে আগ্রহী হন।এছাড়া ব্রি-৫২ জাতের ধানটি জলসহায়ক এবং বেশি ফলন দেয় বিধায় তারা আমন চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন।

[৭] সাচড়া ৬ নং ওয়ার্ডের বাথান বাড়ির কৃষক শহিদুল মীর,জানান১০ একর জমির মধ্যে জোয়ারের আগে ২ একর রোপন করি।পানিতে তলিয়ে থাকার কারনে রোপনকৃত ধানের অর্ধেক নষ্ট হয়ে যায়। এখন ৪৩০০ টাকার জালা কিনে চারা সমস্ত জমিতে আমন রোপন করছেন।

[৮] উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আলম,বিশ^জিৎ দে,বিকাশ চন্দ্র দাস,খায়রুল আলম মুন্সি জানান,তাদের বøকগুলো আমন রোপন শেষ হয়েছে।ব্রি-৫২ ধানটি জলসহিষ্ঞু ও ফলন ভালো বিধায় তারা কৃষকদেরকে এটা চাষে পরামর্শ দিয়েছেন।

[৯] বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওমর ফারক জানান, এবার আউশ মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। দাম ও তুলনামূলক ভাবে কৃষকরা বেশি পেয়েছে। তাই কৃষকরা খুবই উজ্জীবিত। এ জন্য কৃষকরা আমন চাষে বেশী আগ্রহী হয়েছে। টার্গেট পূরণ হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়