ইসমাঈল ইমু : [২] চট্টগ্রামের বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌকির ইসলামকে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার ছয় বছর পার হলেও এখনো বিচারের আশায় বসে আছে তার পরিবারের লোকজন। এই হত্যা মামলায় পুলিশ আসামীদের পক্ষ নিয়ে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। যা নিয়ে চরম অসন্তোষ নিহতের পরিবার। মামলাটি আবারো তদন্ত করে প্রকৃত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার।
[৩] সোমবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা আয়শা বেগম জানান, ২০১৪ সালেরে ৩১ আগস্ট রাতে ঢাকায় সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য লোহাগাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাত ১০টার সময় কমলাপুর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের একটি বগিতে ওঠে। পরে একই বগিতে সাতকানিয়া উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী ওঠে। ট্রেনটি গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন পার হওয়ার পরপর সিটে বসাকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
[৪] সাতকানিয়ার নেতা-কর্মীরা সংখ্যায় বেশি থাকায় তারা জোরপূর্বক লোহাগাড়ার নেতা-কর্মীদের সিট থেকে তুলে দেয়। পরে ট্রেনটি গাজীপুরের নিমতলী এলাকায় পৌঁছার পর সাতকানিয়ার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে প্রথমে তৌকির ইসলাম এবং পরে মোরশেদুল আলম নিভিল, শাহেদ হোসেন ও মাইসা হোসেন রিপনকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চারজনই গুরুতর আহত হন। পরে লোহাগাড়া ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাত আড়াইটার দিকে তৌকিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৫] আয়মা বেগম আরো জানান, ওই মামলায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো আসামী ধরা বাবদ পুলিশ তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছে। পরে চুড়ান্ত রিপোর্টও দিয়েছে আদালতে। বর্তমানে মামলাটি আবারো তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তৌকির হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের মা। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ভাই আলমগীর হোসেন ও ভাবী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :