রিয়াজুর রহমান : [২] পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ন্যায্যমূল্যে বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর ১০ জায়গায় ও উপজেলায় ৫ জায়গায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে শুরু হয়েছে টিসিবি-এর এই পণ্য বিক্রি। গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) টিসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত টিসিবির এই পণ্য বিক্রি চলবে। সারাদেশে মোট ২৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাক ঘুরবে সরকারি এই সংস্থাটির পণ্য নিয়ে।
[৩] জানা গেছে, প্রতিদিন ১৫টি ট্রাকে করে পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলায় এই পণ্যবিক্রি চলবে। নগরীর জামালখানের প্রেস ক্লাব, বন্দর থানা কাস্টমস মোড়, আলকরন, স্টিলমলি কাটগড়, হালিশহর বিডিআর হল, কোতোয়ালী জিপিও অফিস, বিবিরহাট, অলংকার মোড়, দামপাড়া পুলিশ লাইন্স, ইপিজেড থানায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি চলছে।
[৪] এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, লোহাগড়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালীতেও সোমবার টিসিবির পণ্য চলছে এবং বাই রোটেশনে সব জায়গায় এই পণ্যবিক্রি কার্যক্রম চলবে বলেও জানা গেছে।
[৫] গত শুক্রবার দেয়া টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিজন ক্রেতা ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারবে। প্রতি কেজি চিনি ও মশুর ডাল ৫০ টাকা কেজি দরে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে কিনতে পারবেন। এ ছাড়া সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ৮০ টাকা দরে একজন ভোক্তা দুই লিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার পর্যন্ত কিনতে পারবেন।
[৬] টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও বন্য পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবি এসব পণ্য বিক্রি করবে। এছাড়াও প্রতিটি ট্রাকে চিনি ৫০০-৭০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে। সঙ্গে মশুর ডাল ৪০০-৬০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৭০০ থেকে এক হাজার লিটাল ও পেঁয়াজ ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি বরাদ্দ থাকবে। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :