সমীরণ রায় : [২] ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পুরো ঢাকা শহর জুড়ে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসবের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? যেখানে যাই সেখানেই সড়কের অফিস, প্রকল্পের অফিস। বেইলি রোড, বনানী, গুলশান, বনানী কবরস্থানের পাশে, শ্যামলী, মিরপুর, কত প্রয়োজন? তাহলে আলাদা করে সড়ক ভবন কেন? ভবিষ্যতে প্রকল্প গ্রহণের সময় অফিসসহ অন্যান্য স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখতে হবে।
[৩] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ঢাকায় অফিস করেন। সেতু নির্মিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে, আর প্রকল্পের অফিস কেন ঢাকায়? এটিও প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বিত হওয়ার একটি কারণ। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি। প্রকল্প এলাকায় অফিস থাকবে, ঢাকায় নয়।
[৪] তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সঙ্গে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। সৌদি ফান্ডের অর্থ ছাড়ে বিলম্বসহ করোনা মহামারি এবং অন্যান্য কারণে প্রকল্পটির ধীরগতি রয়েছে। আশা করবো শম্বুক গতিতে পেয়ে বসা এ সেতুর নির্মাণকাজ এখন গতি পাবে।
[৫] এ সময় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি উদ্বোধন করলেও কাঙ্ক্ষিত গতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
[৬] রোববার ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।