আবু জাহের: [২] নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মীরা এ নিয়ে শুরু করেছে দৌঁড়ঝাপ। ইতোমধ্যে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বিভিন্ন দলের প্রভাবশালী একাধিক নেতা ভোটের মাঠে নামছেন এমন সরব আলোচনা চলছে পৌরসভার অলিগলিতে।
[৩] অনেকে ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টার ছাপিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে জানান দেয়ায় তাদের অতীত-বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিয়েই চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের রীতি চালু হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের পাশাপাশি বিএনপি থেকেও মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে একাধিক নেতার নাম লোকমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
[৪] তবে এখনো দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি খোলাসা করা হয়নি। ইতোমধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে অন্তত ৫ জন ও বিএনপির ৩ জন, জাতীয় পার্টির ১জন, ইসলামী আন্দোলন ১জন প্রার্থী নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতীক পেতে অনেকে জোর লবিং করছেন বলে বিশ্বস্থ এক সূত্র জানা যায়।
[৫] পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনেকে পোস্টার ছাপিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা হলেন, ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, এই প্রথম মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব আম্বীয়া, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: সারওয়ার রহমান মিন্টু, তিন বার মেয়র পদে মনোনয়ন না পেয়েও এবার চতুর্থ বার মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি, তিন বার মেয়র পদে মনোনয়ন না পেয়েও এবার চতুর্থ বার মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক।
[৬] অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনকে সামনে রেখে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে একাধিক প্রার্থী। বিএনপি থেকে একাধিক বার নির্বাচিত সাবেক মেয়র আলহাজ¦ জানে আলম খোকা, সাবেক মেয়র স্বাধীর কুমার কুন্ডু, সাবেক কমিশনার শহিদুল ইসলাম তারা মেয়র প্রার্থী বলে জানা যায়। এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে নুরুজ্জামান বারী মিথুন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে আলহাজ্ব ইমরান কামাল খান মেয়র পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে জানা যায়।
[৭] আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই পৌর এলাকার হাটবাজার, চায়ের দোকানে প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে ভোটার জনতার মাঝে আলোচনা সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় চমক সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান মেয়র, কিছু নতুন মুখ অন্যদিকে তরুন প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে। কে পাবেন প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই। এ দিকে প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে যার যার অবস্থান থেকে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।