রাশিদ রিয়াজ : বিশে^র শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলো যখন মন্দা কাটিয়ে ওঠার জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করছে তখন চীন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যে দেশটিকে নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্ষম হয়েছে। গত আগস্ট মাসে চীনে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮.৭ শতাংশ যা ১২.৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমান। স্পুটনিক
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে গত বছর দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৯০.৬৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এবার বিদেশি বিনিয়োগ কোভিডের কারণে হোঁচট খেলেও গত বছর তা ২.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। এবছর উচ্চ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির হার ২৮.২ শতাংশ, সেবাখাতে এ বৃদ্ধির হার ১২.১ শতাংশ এবং এটা সম্ভব হচ্ছে আন্তঃসীমান্ত আর্থিক প্রবাহকে সহজ করে দেয়া ও দেশটির টেলিযোগাযোগ খাতে বিদেশি বিনিয়োগকে আংশিক হলেও নিয়ন্ত্রণহীন করে তোলায়। স্পুটনিক
সম্প্রতি চীনে যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন হয়ে গেল সেখানে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশটিতে ৮’শ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক দরকষাকষি ও তীব্র মনোমালিন্য চললেও আগের চেয়ে নেদারল্যান্ড থেকে ৭৩.৬ ও ব্রিটেন থেকে ১৭.২ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে চীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীন থেকে তার দেশের কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়ার আহবান জানালেও তাতে কোনো কর্ণপাত করা হচ্ছে না। চীনা পণ্যের ওপর দফায় দফায় মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি পেলেও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে বেইজিং। একই সঙ্গে চীনে মার্কিন কোম্পানিগুলো আউটসোর্সিং অব্যাহত রাখলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাফ বলে দিয়েছে সেসব কোম্পানিগুলো ফেডারেল চুক্তির সুবিধা পাবে না। এসব মার্কিন কোম্পানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন কিন্তু আখেরে কোনো লাভ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :