রাশিদুল ইসলাম : [২] শনিবার কারাগারে কুস্তিগির নাভিদ আফকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই কুস্তিগিরকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করেছে। তাদের অভিযোগ, ইরানে সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্যই আফকারিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ইরানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী আফকারি।
[৩] ইরানের সরকারি টিভিতে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণে সিরাজ শহরে এক কারাগারে আফকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। অভিযোগ, ২০১৮ সালের ২ অগাস্ট তিনি সরকারি কর্মচারী হোসেইন টর্কমানকে ছুরি মেরে হত্যা করেন। তিনি দোষ স্বীকার করেছিলেন।
[৪] কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান সরকারকে অনুরোধ করেন যাতে ওই কুস্তিগিরকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এদিন ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, আফকারির মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমরা গভীর দুঃখ পেয়েছি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন তাঁর প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু ইরান সরকার সেকথা শোনেনি। আমরা মৃত কুস্তিগিরের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি।
[৫] মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, আফকারির দুই ভাই ভাহিদ ও হাবিবও সিরাজ শহরের জেলে আটক আছেন। ইরান সরকার বলেছে, যে ব্যক্তিকে আফকারি খুন করেছিলেন, তার পরিবারের অনুরোধে ওই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আফকারির উকিল হাসান ইউনেসি জানিয়েছেন, সিরাজ শহরের অনেকে স্থির করেছিলেন, রোবার তারা মৃত সরকারি কর্মী হোসেইন টর্কমানের বাড়িতে যাবেন। আফকারিকে যাতে ক্ষমা করা হয়, সেজন্য তাদের অনুরোধ করবেন।
[৬] পরে হাসান বলেন, ইরানের আইনে বলা আছে, অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে তাকে তার পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। কিন্তু আফকারিকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাড়া আফকারির কোনও অপরাধ ছিল না।
আপনার মতামত লিখুন :