শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:১১ সকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমুদ্রে সেরা যুদ্ধজাহাজ

অনলাইন ডেস্ক : সমুদ্র সুরক্ষায় বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশগুলো নিজেদের উন্নয়ন করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন, জাপান, ইতালি ও ভারত গেল কয়েক দশকে সমুদ্রে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধিতে সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিটি দেশই তাদের নৌ-বাহিনীতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত যুদ্ধজাহাজের নাম লিখিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুদ্ধজাহাজে নানা ধরনের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা রণতরীর কাতারে এনেছেন ডেস্ট্রয়ার (ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে এমন যুদ্ধজাহাজ)। বড় রণতরীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে ক্রুজার। এ ছাড়া হালের বিমানবাহী রণতরী বলতে গেলে- সমুদ্রে রীতিমতো বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েনই বলা যায়। এসব যুদ্ধজাহাজে কী নেই? যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ক্রুজ মিসাইল, লেজার রাডার থেকে শুরু করে শতাধিক সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনী অফিসার ও কয়েক হাজার যোদ্ধা অবস্থান করতে পারে। এই অতিকায় যুদ্ধজাহাজকে সমুদ্রের দানব বললেও ভুল হবে না। এসব নিয়ে আজকের রকমারি-

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী
রণতরীতে আধুনিকায়ন চলছে বিশ্বব্যাপী। সামরিক শক্তিধর দেশগুলো সমুদ্রে নিজেদের আধিপত্য

বিস্তারে যুদ্ধজাহাজে বিভিন্ন ধরনের জাহাজের সংযোজন ঘটাচ্ছে। রণতরী হিসেবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের ডেস্ট্রয়ারগুলো। সমুদ্রে রণতরীতে আধুনিক অস্ত্রের সমাহার ঘটিয়ে উন্নয়ন করা হচ্ছে ডেস্ট্রয়ারে। এখন বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর ও ব্যয়বহুল বিমানবাহী ডেস্ট্রয়ার নির্মাণে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএস জুমাল্ট নামের এই ডেস্ট্রয়ারটি নির্মাণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হতে যাচ্ছে ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি লম্বায় ৬১০ ফুট এবং এর ওজন হবে ১৫ হাজার টন। ২০১৬ সালে এটি সমুদ্রে পরীক্ষামূলক টহল দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-বাহিনী জুমাল্টকে আটলান্টিক মহাসাগরের সামুদ্রিক ঈগল বলে অহঙ্কার করে। বর্তমানে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় ও আক্রমণাত্মক রণতরী। এতে যোগ করা হয়েছে অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম। কম্পিউটারের নির্দেশনা মেনে এটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। এ ছাড়া রয়েছে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক লেজার গান ও রেইল গান।

এ সময়ে সেরা রণতরীর কথা আসলে জুমাল্টকেই এগিয়ে রাখতে হবে। অবশ্য এখানেই থেমে নেই যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের পথে পা ফেলে তারা। রণতরীর নাম রাখা হয়েছে ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড। এর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এক লাখ টন ওজন ও ১ হাজার ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে রণতরীটি মার্কিন নৌ-বাহিনীর গর্ব হয়ে উঠবে। বলা হচ্ছে, রণতরীতে ১ কোটি ফুট দৈর্ঘ্যরে ইলেকট্রিক তার, ৪০ লাখ ফুট ফাইবার অপটিক তার রয়েছে। নেভি ক্রু, স্টাফসহ ৪ হাজার ৫৩৯ জন বহন করবে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড।

৭৫টির বেশি বিমান (এয়ারক্রাফট) উড্ডয়ন ও অবতরণ করবে রণতরীটি থেকে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে এটির দেখা মিলতে পারে। ২০২০ সালে এটি কমিশন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দানব ইয়ামাতো

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সমুদ্রে নেমেছিল জাপানের রণতরী ইয়ামাতো। জাপানের এক প্রাচীন শহরের নামে নাম রাখা হয়েছিল এর। যুদ্ধে নামা বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই রণতরীকে বলা হতো সমুদ্রের দানব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সমুদ্র সাম্রাজ্যে একাই জাপানের গর্ব ছিল এটি। ইয়ামাতোর সহযোগী রণতরী ছিল মুশাই। সমুদ্রে এই যুগলের সঙ্গে কেউই নাক গলাতে আসার সাহস রাখত না। ১৯৩৭ সালে এর নির্মাণের খবর পাওয়া যায়। তবে এটি বিশ্ববাসীর চোখে পড়ে ১৯৪০ সালে। সে বছর এটি সমুদ্রে ভাসলেও কমিশন লাভ করে ১৯৪১ সালে। ইয়ামাতো ছিল রীতিমতো অস্ত্রভান্ডার। ভয়ঙ্কর সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এই রণতরীর ওজন ছিল ৭২ হাজার ৮০০ টন। রণতরীর পিঠে বসানো ছিল ১৮.১ ইঞ্চির ৯টি (৪৫ ক্যালিবার টাইপ ৯৪) মেইন গান। রণতরীর বুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন্দুক বলা যায় এটিকে। কমিশন পাওয়ার পর জাপান এটিকে হুমকি হিসেবেই সমুদ্রে রাখে। যুক্তরাষ্ট্রও কখনো সমুদ্র সংঘাতে এর মুখোমুখি হয়নি। তাই বেশ কয়েক যুদ্ধে গোলা ছুড়তে হয়নি। কিন্তু ১৯৪৪ সালে এটি আমেরিকান রণতরীর দিকে বন্দুক তাক করেছিল। সে বছর জুনের আগ পর্যন্ত আমেরিকান জোট ইয়ামাতোর হুমকিতে জবাব দেয়নি। অবশ্য সে বছর অক্টোবরেই হিসাব পাল্টে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফিলিপাইন নিয়ে টানাপড়েন সংঘাতে জাপান ইয়ামাতোকে মুখোমুখি দাঁড় করায়। ‘ব্যাটেল অব লেয়াট গালফ’ খ্যাত সেই সমুদ্র যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে ইয়ামাতোর মোকাবিলা করে। কার্যত অস্ত্রশস্ত্রে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া যৌথ বাহিনীর বেশ বড় বহর নিয়ে হাজির হলে একা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইয়ামাতো। ইয়ামাতোর সহযোগী রণতরীগুলোও তেমন পেরে না ওঠায় এটি ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জ্বালানি সংকটে পড়ে অনেকটাই অকেজো হয়ে পড়ে এটি। ফিরে আসার কথা থাকলে কুশু সমুদ্র অঞ্চলে এটি মার্কিন নেভি ট্র–প, সাবমেরিনের দ্বারা আবার আক্রান্ত হয়। এবার যুদ্ধ করা ছাড়া আর পথ পায়নি ইয়ামাতো। সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এটি যুদ্ধ চালিয়ে যায়। ৭ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। ইয়ামাতোর দৈর্ঘ্য ছিল ৮৬২ ফুট ১০ ইঞ্চি। ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে এটি ছুটতে পারত। রণতরীতে ২ হাজার ৫০০ সৈনিক কাজ করত। সাতটি যুদ্ধজাহাজ ও দুটি বিমান উড্ডয়ন রানওয়ে ছিল এতে।

 

সমুদ্রে রাশিয়ার ‘সিংহ’

রণতরীটির নাম এডমিরাল কুজেন্তোভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই রাশিয়া সমুদ্রে নিজেদের দুর্ভেদ্য করে গড়ে তুলতে শুরু করে। বিশ্লেষকরা ধারণা করেন, পারমাণবিক মিসাইল ছুড়তে সক্ষম এমন রণতরী তো বটেই, সাবমেরিন নিয়ে সমুদ্রযুদ্ধে রাশিয়া সেরা। অতি সম্প্রতি আইএসকে হুমকিস্বরূপ সিরিয়ার মুখে রাশিয়া ভাসায় এডমিরাল কুজেন্তোভকে। এই দানব রণতরীতে সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে। ৩০৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই রণতরী বিশ্বের দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী। ৪২টি যুদ্ধবিমান ও ১৮টি হেলিকপ্টার নিয়ে এটি সমুদ্রে ছুটতে পারে ঘণ্টায় ৫৪ কিলোমিটার গতিতে। এর মোট ওজন ৬১ হাজার ৩৯০ টন। এই রণতরীতে ১ হাজার ৬৯০ জন নেভি সদস্য কাজ করেন।

 

চীনের প্রথম বিমানবাহী রণতরী

প্রায় ১০ বছর ধরে সংস্কারের পর চীন সমুদ্রে ভাসিয়েছে তাদের প্রথম বিমানবাহী রণতরী। ইউক্রেন থেকে কেনা এই বিমানবাহী রণতরী বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ রণতরী। সমুদ্রে চীনের আধিপত্য বিস্তারে এই রণতরী রীতিমতো সামরিক বিশ্লেষকদের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয়। ১৯৯৮ সালে চীনা একটি ব্যবসায়ী কোম্পানি ভাসমান ক্যাসিনো হিসেবে ব্যবহার করার কথা বলে বিমানবাহী রণতরীটি ২ কোটি ডলারে ইউক্রেনের কাছ থেকে কিনে নেয়। ২০০২ সালে চীনের সমুদ্রবন্দর দালিয়ানে পৌঁছায় ভারিয়াগ। চীনের ভাষ্যমতে, রণতরীটি কেবল গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হবে। রণতরীটির দৈর্ঘ্য ৩০২ মিটার, ওজন প্রায় ৬৭ হাজার টন, ৫০টি বিমান ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন, ঘণ্টায় গতি ৩০ নটিক্যাল মাইল।

 

কিং সেজং দ্য গ্রেট ক্লাস

১৬টি রেডশার্ক এন্টি সাবমেরিন ধ্বংসে সক্ষম মিসাইলসম্পন্ন যুদ্ধজাহাজ কিং সেজং দ্য গ্রেট ক্লাস। হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রি এবং ডাওয়ে শিপবিল্ডিং ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি মাত্র দুই বছরের মতো সংক্ষিপ্ত সময়ে ৯২৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করে এই জাহাজটি। কিং সেজং দ্য গ্রেট ক্লাস বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ হিসেবেও পরিচিত। বৃহৎ জাহাজ নির্মাণের অভিজ্ঞতা হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রি এবং ডাওয়ে শিপবিল্ডিং ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির আগে থেকেই ছিল। এর আগেও তারা বৃহদাকার জাহাজ নির্মাণ করেছে। জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি আমেরিকা এবং ইউরোপকেও ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধজাহাজ কিং সেজং দ্য গ্রেট ক্লাসের কার্যক্ষমতা সব জাহাজকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি পুরো উত্তর কোরিয়ার ভূগর্ভের উপরিস্থ এবং নিচস্থ নৌবহর সম্পূর্ণরূপে চোখের নিমিষেই ধ্বংস করতে সক্ষম! এ ছাড়াও এতে রয়েছে : সেন্সর : SPY-1D যা প্যাসিভ ইলেক্ট্রনিক্যালি স্ক্যানিংয়ের PESA) রাডার, যার চারটি কপাট রয়েছে। প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার অবধি এই রাডার দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র সন্ধানে সক্ষম। এর সব ধরনের প্রযুক্তি যা নিজেই কো সাহায্য ছাড়াই লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা এবং নিশানা তাক করতে পারে। MK-41 উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার ফলে বহুদিক থেকে আসা আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম।

 

ভারতের রণতরী বিক্রমাদিত্য

ভারতের হাতে রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ রণতরী ‘বিক্রমাদিত্য’। ২০১৩ সালে এটি কমিশন লাভ করে। রণতরী ‘বিক্রমাদিত্য’ কিনতে ২.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছিল ভারতকে। রাশিয়ার এই রণতরীতে উল্লেখযোগ্য সংস্কার করে ভারত। বিমান উড্ডয়নে সহায়ক ১৪ ডিগ্রি ৩০ মিটার দীর্ঘ স্কি-জাম্প সংযোজন করেছে ভারত। একসঙ্গে ৩৬টি যুদ্ধবিমান দাঁড়াতে পারে এই রণতরীতে। ৪৪ হাজার ৫০০ টন ওজনের এই রণতরীতে ১১০ জন নেভি অফিসার কর্মরত থাকেন। নৌসেনা রয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জন। ২৮৪ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই রণতরীটি প্রায় ২২তলা দালানের সমান উঁচু। ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম এই রণতরী। সমুদ্রে ভারতের প্রধান যুদ্ধাস্ত্র এটি।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার হাতে ‘গ্রেট ক্লাস’!

ভয়ঙ্কর ডেস্ট্রয়ার সেজাং দ্য গ্রেট ক্লাস রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। যুদ্ধজাহাজের কথা হলে এটিকে এগিয়ে রাখতে হয়। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এটি সমুদ্রে নেমে দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর নেভি ফোর্স হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেয়। প্রায় ১১ হাজার টনের এই ডেস্ট্রয়ারটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডেস্ট্রয়ার হিসেবে দাবি করছেন অনেকে। সমুদ্র থেকে ক্রুজ মিসাইল ছোড়ার জন্য এটি বিশেষভাবে নির্মিত। এতে ‘অন-বোর্ড রাডার’ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। ডেস্ট্রয়ারটি থেকে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকার লক্ষ্যে আঘাত হানার জন্য শক্তিশালী ও নির্ভুল ক্রুজ মিসাইল সিস্টেম রয়েছে। এতে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারও রয়েছে।

এ ধরনের রণতরী নির্মাণে খরচ করতে হচ্ছে ৯৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৬টি তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ৩টি তৈরি করে সমুদ্রে নামিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

 

টাইপ ৫২ ডি কানমিং ক্লাস

টাইপ-৫২ ডি কানমিং ক্লাস যুদ্ধজাহাজটি রয়েছে চায়নার হাতে। এর দৈর্ঘ্য ১৫৬ মিটার। ২০১৪ সালে এটি উন্মুক্ত করা হয়। ২৮০ জন নাবিক এটি পরিচালনা করে থাকেন। এর সর্বোচ্চ গতি ৩০ নট।

এ ছাড়াও এতে রয়েছে- ২ x ট্রিপল লাইটওয়েট টার্পেডো টিউবস এবং খুবই উন্নত সেন্সর ব্যবস্থা (অটোমেটেড সেন্সরড রাডার)। জাহাজটির ইঞ্জিন প্রযুক্তি- CODOG (Combined Diesel Or Gas) এবং ভার বহনের ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৭৫০০ টন। রয়েছে ১ x ১৩০ মি.মি. কামান, ১ x ৩০ মি.মি. সি.আই.ডব্লিউ.এস অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন গান, ৬৪ cell ইউনিভার্সাল ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম। টাইপ ৫২ ডি কানমিং ক্লাসকে চীনা অভেদ্য ঢাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পশ্চিমে এটি লুইয়াং তৃতীয় শ্রেণি হিসেবে পরিচিত। এটিকে মূলত ইউ.এস.এ এর আর্লেহ বোর্কে ক্লাসের সমতুল্য বলে মনে করা হয়।

বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ

১৯১৮ সালে পৃথিবীর প্রথম বিমানবাহী জাহাজের জন্ম হয়। যাতে প্লেন উড়ানো ও অবতরণ সবই সম্ভব। এর নাম ‘এইচএমএস আর্গুস’। ১৯২২ সালে ওয়াশিংটন ন্যাভাল ট্রিটি অনুসারে ইউএস আর ইউকে ১৩৫০০০ টনের বিমানবাহী জাহাজের অনুমোদন দেয়। এর পরেই আবির্ভূত হয় লেক্সিংটন ক্লাস ন্যাভাল ক্যারিয়ার (১৯২৭)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিভিন্ন টাইপের বিমানবাহী জাহাজের আবির্ভাব ঘটে, এস্কর্ট বিমানবাহী জাহাজ যেমন ‘ইউএসএস বোগি’। এর পরেই আসে লাইট এয়ার স্ক্র্যাফট ক্যারিয়ার। সুপার ক্যারিয়ারগুলো ৭৫০০০ টনের বেশি বহন ক্ষমতাসম্পন্ন আর নিউক্লিয়ার পাওয়ার চালিত। ‘ইউএসএস টরা’, ‘এইচ এমএস ওসেন’ এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ার হলেও এগুলো আসলে হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার কিন্তু একই সঙ্গে ছোট যুদ্ধবিমান বহনেও সক্ষম। বিমানবাহী জাহাজ যুদ্ধবিমান দিয়ে আক্রমণে সক্ষম হলেও এর নিজের প্রতিরক্ষা কিন্তু খুব একটা ভালো নয়। তাই প্রতি এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ারের সঙ্গে সাপোর্টিং যুদ্ধজাহাজ হিসেবে সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট ইত্যাদি থাকে। বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়