নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে এস এম জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন না দিতে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন গত সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত আট কাউন্সিলর প্রার্থী। গত শুক্রবার দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা এ লিখিত অভিযোগ দেন। বিএনপির সিনিয়ন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে লিখিত আবেদনে ঢাকা-১৮ আসন এলাকায় ১৪ টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৮ জন প্রার্থী স্বাক্ষর করেন। এতে তারা এস এম জাহাঙ্গীর ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে বিভিন্ন মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কাগজও সংযুক্ত করেন।
[৩] অভিযোগে বলা হয়, গত সিটি নির্বাচনে এস এম জাহাঙ্গীর ও তার যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে আঁতাত করে। নির্বাচনের দিন বিএনপির মনোনিত মেয়র প্রার্থীর জন্য তার দেওয়া এজেন্টদের কেউই কেন্দ্রে যায়নি। নির্বাচনী মাঠে মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে এস এম জাহাঙ্গীর প্রচারণার সুযোগ নিলেও নির্বাচনের দিন ছিলেন নিষ্ক্রিয়। যার কারণে তার নিজ কেন্দ্রে ধানের শীষ ভোট পায় মাত্র ১৯টি।
[৪] তারা বলেন, এস এম জাহাঙ্গীরের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকায় তার ইন্ধনে বিএনপির দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনাও ঘটে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার সমর্থিত পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনের আগমুহুর্তে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে মাঠ ছেড়ে দেয়। যার স্পষ্ট প্রমান হচ্ছে, এস এম জাহাঙ্গীর সমর্থিত একজন প্রার্থী বাদে বাকী সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয় এবং আমাদের একজনের সমান ভোটও পায়নি বাকী ৪ প্রার্থী। এছাড়া ৪৭ নং ওয়ার্ডে তার অনুগত হেলাল উদ্দিন তালুকদারকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রাখে।
[৫] অভিযোগ বলা হয়েছে, তার অনুগত বিএনপির দুটি থানার সভাপতি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করেছেন, নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাজ গলায় ঝুলিয়ে বাড়ী বাড়ী ভোটও চেয়েছেন। বিএনপির নগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাইয়ুমের মাধ্যমে নিজে থানা বিএনপির পকেট কমিটি তৈরী করেছেন, যাদের নেতা বানিয়েছেন, তারা সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সাথে উঠা বসাসহ ব্যবসা বাণিজ্যও করছেন। পকেট কমিটি করতে গিয়ে অন্য নেতাকর্মীদের জেলে ভরাসহ আওয়ামী লীগ লেলিয়ে দিয়ে হেনস্থাও করছেন, মাথা ফাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের কাছে একটি অভিযোগও দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
[৬] এস এম জাহাঙ্গীর নিজে আওয়ামী পরিবারের জামাই হিসেবে বিএনপির রাজনীতি করলেও বহাল তবিয়তে থেকেছেন দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর। উত্তরার অধিকাংশ নেতাকর্মী একাধিকবার আটক হলেও আটক হননি জাহাঙ্গীর। তিনি আঁতাত করে কয়েকটি মামলার চার্জশিট থেকে অব্যহতি পান। এসব মামলার মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার ৯(৮)১৮, উত্তরা পল্লবী থানার মামলা নং ২৪ (৯) ১৮, ৯ (৮) ১৮ ছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলা থেকে তার আপন শ্যালক উত্তরা পল্র্বল থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অপু সিকদারেরও অব্যহতি আনেন। আবার তার আরেক শালা দীপু সিকদার উত্তরা পহৃর্ব থানা ছাত্রলীগের নেতা।
আপনার মতামত লিখুন :