মোঃ ইউসুফ মিয়া: [২] রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে ব্যাস্ততম নদীপারাপারের স্থান দৌলতদিয়া পাটুরিয়ার। সেই স্থানেই রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়ায় নব নির্মিত ৭নম্বর ফেরী ঘাটের প্রবেশ মুখে ডাকাতির প্রস্ততিকালে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীররাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে হাতেনাতে তিন ডকাত গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
[৩] এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি রামদা ও২টি চাকুসহ ডাকাতির আরো ডাকাতি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়।
[৪] ডাকাতি প্রস্ততিকালে আটককৃত হলো গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া সিদ্দিক কাজী পাড়ার, উত্তর দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়ার ধীরেন শীল এর ছেলে সবুজ শীল (২৫) ও দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার মনি ফকিরের ছেলে জুয়েল ফকির (২৮)। দুলাল মোল্লোর ছেলে জাহিদ মোল্লা ওরেফে বাপ্পি (৩২)রুদ্ধে শুক্রবার সকালে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা দায়ের শেষে বিকেলে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়।
[৫] ডাকাতি মামলার বাদী গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জাকির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার সময় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাটে ডাকাতি হচ্ছে এমন খবরের জানতে পারেন নবনির্মিত ৭নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় ডাকাতদল ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে গভীররাতেই তিনটার দিকে ৭নম্বর ফেরিঘাটের প্রবেশমুখে যাওয়ার আগেই পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি টের পেয়ে সবাই পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে হাতেনাতে জাহিদ মোল্লা ওরফে বাপ্পী, সবুজ শীল ও জুয়েল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে দুটি ধারালো বড় রাম দা, দুটি ছোড়া, নাইলন রশি, ছালার বস্তা ও মাঝারী আকারের একটি গাছের গুঁড়ি জব্দ করে। এসময় আরো ৭-৮ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে এরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে স্বীকার করেছে।
[৬]গোয়ালন্দ ঘাট থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-তায়াবীর বলেন, এদের মধ্যে সব সময় ব্যাস্ততম স্থানেই মানুষেকে খুন করতে কোন প্রকার দিধাবোধ করেনা কারন এই দৌলতদিয়া পাটুরিয়া একমাত্র আসা যাওয়ার নৌ পথে এরা সবাই ডাকাত ও ঘাটে পেশাদার ছিনতাইকারী। এদের সবাইকে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী দেখিয়ে শুক্রবার বিকেলে রাজবাড়ীর বিঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :