সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে পল্টনে বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় নব্য জেএমবির আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামুন আল মোজাহিদ ওরফে সুমন ওরফে আবু আবদুর রহমান, মো. আল আমিন ওরফে আবু জিয়াদ, মো. মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে রোকন ওরফে আবু তারিক ও সারোয়ার হোসেন রাহাত। তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার রাতে অপারেশন এলিগ্যান্ট বাইটের ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
[৪] উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই রাতে পুরানা পল্টন এলাকায় বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আইইডিতে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক টেপ, জিআই পাইপের কনটেইনার, সার্কিটের অংশ, তারের অংশ বিশেষ, লোহার তৈরি বিয়ারিং ও বল, নাইন ভোল্ট ব্যাটারির অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়।
[৫] সিটিটিসি সূত্র জানায়, গত ১১ আগস্ট সিলেটে সিটিটিসি পরিচালিত অপারেশন এলিগ্যান্ট বাইটে বোমা বিস্ফারণের ঘটনায় জড়িত নব্য জেএমবির ৫ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও নিজস্ব ইন্টেলিজেন্সে পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তরার আজমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জন নব্য জেএমবির সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পল্টনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৯ জন নব্য জেএমবির সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৬] সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত শেখ সুলতান মোহাম্মদ নাইমুজ্জামানের বিভিন্ন সিক্রেট কমিউনিকেশন অ্যাপসের মাধ্যমে পল্টনে হামলার নির্দেশনা ও পরিকল্পনা বিষয়ক কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদনসহ গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।