বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি তাদের বৈঠকও হয়েছে ।
[৩] করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক সুবিধা দিতে প্রথম দফায় এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি স্থগীত করে। পরে দ্বিতীয় দফায় এটি বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরমধ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কিস্তি স্থগীতের ঘোষণা ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই আদেশে এনজিও ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের কিস্তিও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
[৪] ঋণের কিস্তি স্থগীতের বিষয়ে ব্যাংকার্সদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ড.আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এখন কেউ আর ফেরত দিচ্ছে না। যারা কিস্তি দিতে পারেন তারাও দিচ্ছে না। এতে ব্যাংকের তারল্য সংকট হচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে ঋণ খেলাপিরা।
[৫] পূবালী ব্যাংকের এমডি জানান ,তারল্য সংকট কাটাতে সরকার রেপোরেট কমানো ছাড়াও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন খেলাপি ঋণ কম থাকলে ব্যাংকগুলোর খেলাপির বিপরীতে সঞ্চিতি রাখতে হবে না। তাতে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বাড়বে। মুনাফা বাড়লে তারা বেশি ডিভিডেন্ট দিতে পাবে। বেশি ডিভিডেন্টে স্টক মার্কেটও চাঙ্গা হবে। সরকারের রাজস্বও বাড়বে।
[৭] গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ৯৬১১৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ছিল। এটি আগের খেলাপি ঋণের চেয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা কম।
আপনার মতামত লিখুন :