সোহেল রহমান : [২] বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, দেশে বন্যার কারণে পেঁয়াজ সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। ফলে একটু দাম বেড়েছে বাজারে। আমরা খুব চেষ্টা করছি। টিসিবি বড় পরিসরে নামছে। আগামী রোববার থেকে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হবে। এ বছর আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করবো। ইতোমধ্যেই তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য টিসিবি’র মাধ্যমে দরপত্র দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
[৩] বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা নতুন বাজার থেকে আমদানি করতে শিখেছি। তুরস্ক, মিশর ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গতবার পেঁয়াজ আমদানির কারণে কারণে এবারও সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো আছে।
[৪] তবে গত বছর মায়ানমার থেকে আমরা যে পরিমাণ পেঁয়াজ পেয়েছি, কোভিডের কারণে এবার সেটা ধীরগতি লক্ষ্য করার যাচ্ছে। এ বিষয়ে গত বুধবার মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্য সচিবের কথা হয়েছে। আমরা সবগুলো পথ খুলে দিতে চাই। যতো দ্রুত ও বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা যায়। আমাদের তরফ থেকে সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
[৫] প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ভারতের বাজারেও ইতোমধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ কারণে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে গত বছর আর এ বছরের মধ্যে পার্থ্যক হলো গত বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার কিন্তু বন্ধ করেনি। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারেরও জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।
[৬] অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সার্বিক পরিস্থিতি ফুল মনিটর করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অবস্থা পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকটি টিম আমদানির স্থানগুলোতে যেমন, বেনাপোল ও হিলিতে গেছে। গত বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর আমাদের এখানকার ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে।
[৭] ‘কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি হয়েছে, তাহলে সংকট কেন’Ñ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উৎপাদন বেশি হওয়া মানেই আমাদের ফুল টার্গেট হয়েছে, তা কিন্তু নয়। সাধারণভাবে আমাদের ঘাটতি থাকে ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন। এবার উৎপাদন বাড়ায় ঘাটতি কমে দাঁড়াবে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন। এক বা দুই বছরে আমরা এটা কভার করতে পারবো না। পাশাপাশি আমাদের চাহিদা বাড়ছে। ফলে আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে বাইরের বাজারের ওপর।
আপনার মতামত লিখুন :