নূর মোহাম্মদ: [২] সুপ্রিম কোর্টের ৫৩ জন আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠান। আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
[৩] পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ (পুলিশ কমপ্লেইন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন-পিসিআইসি) গঠন করতে বলা হয় নোটিশে।
[৪] চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৫০০ টি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
[৫] এতে বলা হয়, ৯০৮ পৃষ্ঠার ঘটনাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, পুলিশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে মৃত্যু-নির্যাতন, গুম, অপহরণ-মুক্তিপণ আদায়, খুন, মারধর, হুমকি ও হয়রানি, ধর্ষণ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটপাট, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, জমি দখল ও সম্পত্তি বিনষ্টকরণ, মাদক ব্যবসা ও উদ্ধারকৃত মাদক আত্মসাৎ, আটক বাণিজ্য, অপরাধীদের আশ্রয় ও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া, মামলা নিতে গড়িমসি ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ, মিথ্যা ও পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি, তদন্তে গাফিলতি, সাংবাদিক নির্যাতন, কর্তব্যে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্টকরণ ও আসামিদের নাম বাদ দেয়া এবং নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে দুর্নীতিসহ মোট ১৮ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।
[৬] লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন কার্যকর আছে। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার, পুলিশ রিমান্ড ও পুলিশের পেশাদারিত্বের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার এ ধরণের কমিশন গঠনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ