সিরাজুল ইসলাম: [২] ব্রিটেনে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিংয়ের কাছে মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। এতে সই করেছেন হাউস অব কমন্স এবং হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা। ইনডিপেনডেন্ট
[৩] চিঠিতে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীন যে আচরণ করে চলেছে তা অবশ্যই জাতিগত নির্মূলের উদ্দেশে করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই এই ধরনের নির্যাতন চালানো হচ্ছে। জার্মানিতে নাৎসিরা যে ধরনের অত্যাচার চালিয়েছিলো, উইঘুর মুসলিমদের ওপরও সেই ধরনের অত্যাচার চলছে। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমরা কীভাবে বসবাস করছে সে সম্পর্কে সব কিছু প্রকাশ্যে আনতে হবে। বিশ্ববাসীর উদ্বেগ দূর করতেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে বেইজিংকে।
[৪] যদিও উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। বেইজিং দাবি করেছে, চীন সরকার সর্বদা জাতিগত সংখ্যালঘুদের বৈধ অধিকার রক্ষা করে। চীনের অন্যান্য অংশের লোকদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয় উইঘুরদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হয়।
[৫] অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেক উইঘুর মুসলিম বিদেশে চলে গেছে। সেখানে তারা ভয়াবহ নির্যাতনের কথা বলছেন। তাদের চলাফেরার উপর নিয়ন্ত্রণ, আটক কেন্দ্রে আটকে রাখা, শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে রাখা, নিয়মিত ঘরবাড়ি তল্লাশি করা, হুমকি দেয়া এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তারা।