সিরাজুল ইসলাম: [২] দেশটিতে ২০০৩ সালে শুরু হওয়া আগ্রাসনের পর এই প্রথম সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হলো। সেখানে ৫ হাজার ২০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। আলজাজিরা
[৩] মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনেজিই বলেন, এ মাসেই ইরাক থেকে ৫২০০ সেনা থেকে কমিয়ে ৩০০০ করা হবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি ইরাক থেকে সব সেনা সরিয়ে নিতে চান। বিবিসি
[৪] জেনারেল কেনেথ বলেন, আইএসের অব্যাহত হুমকি মোকাবেলা এবং স্বাধীনভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইরাকি বাহিনীর সক্ষমতা বেড়েছে বলে বিশ্বাস করে মার্কিন সেনাবাহিনী। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এবং এর জোট সঙ্গীদের সঙ্গে ইরাক সরকার ও সেনাবাহিনীর সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র সেনার সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[৫] তবে সন্ত্রাস দমন বিশেষ করে আইএস নির্মূলে ইরাকি বাহিনীকে সব সময় মার্কিন সেনারা সহায়তা দেবে। এজন্য তিন হাজার সেনা দেশটিতে থাকবে।
[৬] এদিকে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে আগামী এপ্রিল নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানি থেকেও সেনা সরিয়ে নিচ্ছে দেশটি। সেখানে তাদের ১২ হাজার সেনা রয়েছে। ইউরোপের অন্য কোন দেশে তাদের সরিয়ে নেয়া হবে।
[৭] ২০০৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনে ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তখন ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। মূলত তার বিরুদ্ধেই যত অভিযোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। পরে সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :