আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] আন্তর্জাতিক আদালতে জবানবন্দী দিতে মিয়ানমারের ওই দুই পক্ষত্যাগি সেনা ইতোমধ্যে ব্রাসেলসে পৌঁছেছেন। দুই সেনার সাক্ষ্যে মোড় ঘুরতে পারে গণহত্যা মামলা।
[৪] আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই দুইজন কোনও সাধারণ স্বাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী নন। এরা সরাসরি গণহত্যার নির্দেশ পেয়েছেন। এবং একটা পর্যায় পর্যন্ত তাতে অংশ নিয়েছেন। আল জাজিরা
[৫] এই দুই সৈনিক জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাত ৩টায় শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। ভিডিও স্বাক্ষ্যতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসিকে সৈনিক মায়ো উইন তুন বলেন, ৫৬৫তম লাইট ইনফেনট্রি ব্যাটেলিয়নের কর্নেল সৈনিকদের বলেন, এই এলাকার সকল রোহিঙ্গা গ্রামবাসীকে মুছে ফেলতে হবে। কাউকে দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ পাই আমরা। সামরিক নির্দেশেই আমরা জড়ো করা মুসলিম পুরুষদের কপাল বরাবর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করি এবং তাদের লাথি মেরে কবরে নিক্ষেপ করি। এনবিসি
[৬] এই স্বাক্ষ্যের পর ধারণা করা হচ্ছে আদালত খুব সহজেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করতে পারবেন। এর আগে গাম্বিয়ার করা মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়েছে। এই অভিযানের পর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :