সিরাজুল ইসলাম: [২] তাদের স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও রয়েছে। এটি এ বছর তৈরি করা হয়েছে। একটি অধিকার গ্রæপ এবং প্রভাবশালী দুইটি সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স
[৩] ভিডিওতে তারা বলেন, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের সময় তারা বিপুল মানুষকে হত্যা এবং গণকবর দেন। নিউইয়র্ক টাইমস, কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন ও ননপ্রফিট ফর্টি রাইটটের হাতে এ ভিডিও রয়েছে।
[৪] নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, সেনারা অপরাধ স্বীকার করেছে- এমন ভিডিওটির সত্যতা তারা যাচাই করতে পারেনি।
[৫] মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। এই দুইজন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির হাতে বন্দি ছিলো। অপরাধ স্বীকার করার পর তাদের নেদারল্যান্ডসের হেগে নেয়া হয়। সেখানে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তারা সাক্ষী কিংবা বিচারের মুখোমুখি হতে পারে।
[৬] তবে লোক দুইটি কিভাবে আরাকান আর্মির হাতে পড়লো; কিভাবে স্বীকারোক্তি দিলো এবং কিভাবে হেগে নেয়া হলো, তা পরিস্কার হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
[৭] আইসিসির মুখপাত্র ফাদি এল আবদাল্লাহ বলছে, ওই দুইজন তাদরে হেফাজতে নেই।
[৮] আইসিসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী কানাডার আইনজীবী পায়াম আখাভাম বলেন, বর্ডার পোস্টে ওই দুইজন ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
[৯] আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খ্য বলেন, ওই দুইজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বন্দি ছিলেন না। তাদের আটক করার ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।