মনিরুল ইসলাম: [২] জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল-২০২০’ পাস হয়েছে। জাতীয় প্রয়োজনে প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রসহ সব ধরনের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণে প্রকৌশল গবেষণায় এই বিলটি আনা হয়।
[৩] মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কন্ঠভোটে সর্বসম্মতিত্রুমে পাস হয়।
[৪] এর আগে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলের ওপর বিরোধীদলীয় সদস্যদের আনা জনমত যাচাই ও বাছাই এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
[৫] বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল থাকবে। এ কাউন্সিলের অনেকগুলো কাজের মধ্যে রয়েছে জাতীয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্র যেমন পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সব ধরনের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণ করা। এতে কাউন্সিল পরিচালনায় একটি গভর্নিং বডি থাকবে। যার চেয়ারম্যান সরকার নিয়োগ করবে। এছাড়া একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। যার চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।
[৬] বিলে আরো বলা হয়েছে, কাউন্সিলে কাজের সুবিধার জন্য সর্বোচ্চ ছয় সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পেশাজীবী, শিল্প উদ্যোক্তা বা শিক্ষাবিদের সমন্বয়ে প্যানেল হবে।
[৭] বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল আইন হিসেবে প্রবর্তন করা হলে টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে। এছাড়া প্রযুক্তি ও প্রকৌশল গবেষণার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :