আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ১৭৬জন অস্থায়ী কর্মচারী।
[৩] মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা।
[৪] দীঘ ১১ মাস পর গত ৬ সেপ্টম্ভব রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন। নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পরদিন সোমবার ও আজ মঙ্গলবার পেটের তাগিদে দাবী আদায়ে অবস্থান কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।
[৫] দাবি আদায়ে টানা ১১ মাস মাঠে অবস্থানকারী কর্মচারীরা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ইতোপূর্বে আমরা ৩ দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। তবে স্থায়ী নিয়োগ এবং নীতিমালা অনেকটা একই দাবি হওয়ায় বর্তমানে অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ, এই ২টি দাবি আদায়ে কাজ করছি। পুর্নাঙ্গ ভিসি না থাকার কারনে গত ১১ মাস আমাদের দাবী বাস্তবায়ন হয়নি। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন পুর্নাঙ্গ ভিসি যোগদান করেছেন জেনে আমরা ভিষন খুশি হয়েছি। আমরা ১৭৬ জন অস্থায়ী কর্মচারী ১১ মাসেরও বেশী সময় ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা আর পারছিনা। বকেয়া বেতন পরিশোধসহ চাকরি স্থায়ীকরণ করা না হলে অনেকেরই আত্বহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
[৬] টুঙ্গিপাড়া বাড়ী কাজী রুমাসহ আরো অনেকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড, খোন্দকার নাসির উদ্দিন স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান কাজের প্রয়োজনে আমাদের দৈনিক মুজরী ভিত্তিতে চাকুরী দিয়েছিলেন। স্যার চলে যাওয়ার আগ পযন্ত নিয়মিত আমাদের বেতন-ভাতা দিয়েছেন। গত বছর সেপ্টম্বর মাসের ৩০ তারিখে স্যার চলে যাওয়ার পর রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি শাহজাহান স্যার আমাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন।
[৭] বিকেল ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুবের সঙ্গেঁ ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি জরুরী একটি মিটিংয়ে আছি এখন কথা বলতে পারবোনা।
[৮] উল্লেখ্য, ১১ মাসের বেশী সময় ধরে অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবি নিয়ে তারা ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :