সাবেত আহমেদ: [২] গোপালগঞ্জে অতি বৃষ্টি ও বন্যায় ১ হাজার ৯’শ ৮৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুশিয়ে নিতে কৃষক রোপা আমন ধান ও সবজি আবাদ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেয়ে তারা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।
[৩] গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বন্যা ও অতি বর্ষণে জেলার ৫ উপজেলার ১ হাজার ৯’শ ৮৪ হেক্টর জমির আউশধান, আমন ধান, শাক ও সবজি সম্পূর্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্ণ নষ্ট হয়েছে। এতে কৃষকের ২০ কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ৩২ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৪৭ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিতে জেলার ৮ হাজার ৬’শ ৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
[৪] সদর উপজেলার পাইককান্দি গ্রামের কৃষক বাচ্চু শেখ বলেন, প্রায় তিন বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করেছিলাম। ধান সচেমাত্র একটু দেখা যাচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে ধানের চারা পেয়েছি। এগুলো রোপন করে ক্ষতি পুশিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।
[৫] সদর উপজেলার ঘোষেরচর গ্রামের কৃষক বেলায়েত মোল্লা বলেন, দুই বিঘা জমির সব সবজি বৃষ্টি ও বন্যায় নষ্ট হয়েছে। এখন কৃষি বিভাগ ৯ রকমের সবজি বীজ দিচ্ছে। এগুলোর চাষাবাদ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি।
[৬] সদর উপজেলার মানিকদাহে গ্রামের হীরা বাইন বলেন, এক একর জমিতে আমন ধানের বীজতলা করেছিলাম। এ দিয়ে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করা যেত। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিতে তলিয়ে সব নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা ধানের চারা দিয়েছে। এগুলো দিয়ে আবার ধানের আবাদ করছি।
[৭] এছাড়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের উৎসব বিশ্বাস, বিধান বিশ্বাস, বিমল শিকদার, তপন রায়, পরিতোষ ঘরামি জানান, বন্যা ও বৃষ্টিতে তাদের ক্ষেতের ধান, সবজি, শাক, বীজতলা নষ্ট হয়েছে। তারা পুরোপুরি সরকারি সহায়তা পেলেই ক্ষতি পুশিষে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
[৮] গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, আমরা কমিউনিটি, ট্রেতে ও ভাসমান বীজতলা করেছি। এখান থেকে কৃষক বিনামূল্যে চারা নিয়ে রোপা আমনের চাষ করছে। এছাড়া কৃষককে ৯ প্রকার সবজির বীজ দিচ্ছি। এগুলো নিয়ে তারা চাষাবাদ শুরু করেছে। এছাড়া বন্যা ও বন্যা পরবর্তী করণীয় নিয়ে কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি। ইতোপূর্বে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আরো প্রণোদনা এলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে বিতরণ করবো। সরকারি এ সহায়তা পেয়ে তারা ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :