রাশিদুল ইসলাম : [২] ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি কোনো যোগাযোগ না থাকায় দুটি দেশের মধ্যে মধ্যস্ততা ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ দেখাশোনা করে সুইজারল্যান্ড। ইরান সফররত সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিসকে তেহরানে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অন্যায় ও নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞার পর এ ধরনের দাম্ভিক আচরণ ও হুমকি-ধামকির কাছে তার দেশ নতিস্বীকার করবে না। প্রেসটিভি
[৩] ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, দু’টি দেশের সম্পর্ক হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলোর ভিত্তিতে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র সেসব আইন লঙ্ঘন করে বহু বছর ধরে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও এদেশের সরকার ইসলামি শাসনব্যবস্থা উৎখাত করার চেষ্টা করছে।
[৪] রুহানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করবে এবং ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসবে সেদিন তার সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে তার আগে নয়। সুইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একশ বছর পূর্তির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এ সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করা উচিত।
[৫] এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিসের তেহরান সফরের সঙ্গে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র ইস্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, এটি ছিল রুুটিন সফর কিন্তু কোভিডের কারণে এ সফর পিছিয়ে যায়।