সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : [২] রোববার দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
[৩] চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক হিসাব রক্ষক আনোয়ার হোসেন, স্টোর কিপার এ.কে.এম ফজলুল হক, ঢাকার তোপখানা রোড সেগুন বাগিচার মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক এন্ড সার্জিক্যাল কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার, নয়াপল্টনের মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টার ন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী ও অংশিদার আব্দুর ছাত্তার সরকার, একই এলাকার , মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টার ন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী ও অংশিদার আহসান হাবিব, ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী আশাদুর রহমান, মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টার ন্যাশনালের ম্যানেজার কাজী আবু বকর সিদ্দীক ও মহাখালী নিমিউ এন্ড টিসির অবসর প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী এ.এইচ.এম আব্দুস কুদ্দুস।
[৪] তদন্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিগণ অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে তিনটি বিলের বিপরীতে মোট ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা সাতক্ষীরা হিসাব রক্ষন অফিস থেকে তিনটি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দ্বন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে (দুদক, সজেকা, খুলনার (সাতক্ষীরা)। এর আগে দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক ও বর্তমান সহকারী পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধ দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজ রোববার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক।
[৫] উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ১৭ কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরা উক্ত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ গ্রেপ্তারের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করে। এরপর গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুদক চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এরপর ওই বছরে ৯ জুলাই দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :