শিমুল মাহমুদ: [২] বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যাসহ হাজারো ঘটনাকে তারা হজম করতে পেরেছে। কিন্তু যৌবনে এই শক্তিকে স্বাভাবিক মনে হলেও পরবর্তী জীবনে এর খেসারত দিতে হয়। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
[৩] গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, যারা সত্য ঘটনা আঁড়াল করতে ইতিহাস বিকৃত করে তাদের মস্তিস্কই হচ্ছে বিকৃত। কারণ, তারা মনে করে এভাবে ইতিহাস রচনা করা যায়। ইতিহাস কিন্তু তার নিজস্ব গতিতেই চলে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটাই সত্য। তার এ ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার অ্যাড্রেস করেছে। অনুমোদন দিয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত ইতিহাসে সুবিধাভোগী হয়েছিল আওয়ামী লীগই। তখনকার ইতিহাসে ওই রক্তাক্ত সিঁড়ি বেয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরাই পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ওই সময়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ছিলেন। শেখ মুজিব হত্যার পর তিনি সংবিধান অনুযায়ি রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলেছিলেন। তিনি কাউকে সমর্থন জানাননি। তিন বাহিনী প্রধান খন্দকার মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠানে গেলেও জিয়াউর রহমান যাননি। এরপরও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতিতে তাকে হেয় করার জন্যই ওই ঘটনায় তাকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। ইতিহাস বিকৃতি করছে।
[৫] শনিবার রাতে ‘ইতিহাস বিকৃতির অপতৎপরতা রুখতে হবে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি কমিউনিকেশন সেল-বিএনআরসির উদ্যোগে এ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :