সুজন কৈরী : [২] ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৯ সালে দেশের ৮ বিভাগে গ্যাস লাইনের লিকেজ ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার এবং এসি বিস্ফোরণে ৮১৮টি অগ্নি দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।
[৩] এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ছিল ৫৪৮টি। এতে ২৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৬৯ জন।
[৪] অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকার সম্পদ। উদ্ধার হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ টাকার সম্পদ।
[৫] এছাড়া অন্যান্য অগ্নি দুর্ঘটনায় মোট ক্ষতি হয়েছে ৯২ কোটি ৬৪ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকার।
[৬] ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, গত বছর শুধু ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ৩৬৫টি অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৮৯ কোটি ২৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। এরপরই বেশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। সেখানে অগ্নিকান্ড ঘটেছে ১৭৩টি। ক্ষতি হয়েছে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। রাজশাহী বিভাগে ৪৯ অগ্নিকান্ডে ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৩ টাকার। খুলনায় ৪২ অগ্নিকান্ডে ক্ষতি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৩০০, রংপুরে ২০ অগ্নিকান্ডে ক্ষতি ৮৫ লাখ ৫ হাজার ও ময়মনসিংহে ১৪ অগ্নিকান্ডে ১৮ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকার। বরিশাল ও সিলেট বিভাগে কোনো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেনি।
[৭] গত বছর বিভিন্ন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রামে ১৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন আহত এবং ঢাকায় একজন দমকল কর্মী মারা গেছেন।
[৮] ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনা কমাতে হলে সাধারণ মানুষকে অধিক সচেতন হতে হবে। সেইসঙ্গে প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন। গ্যাস লাইন লিকেজ বা গ্যাসের চুলা বা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অনেক অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে আরও সচেতন হওয়া উচিত। সম্পাদনা : রাশিদ