ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন তল্লা চামার বাড়ি বাইতুল সালাত জামে মসজিদে রহস্যজনক বিস্ফোরণে ৪০ মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার এশারের নামাজের পর বেতর নামাজ পড়ারত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের পর পোড়াদেহের যন্ত্রণা কমাতে দগ্ধরা মসজিদ থেকে বের হয়ে বাইরের কাদা পানিতে গড়াগড়ি করেছেন। হৃদয়বিদারক সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই চোখে পানি রাখতে পারেননি।
ওই বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে ইমাম ও মুয়াজ্জিন, ফটো সাংবাদিক, জেলা প্রশাসনের একজন কর্মচারীসহ ৩৭ জনকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. ফাহিম জানান, আমি এশারের নামাজ পড়ে বেতর পড়ে বাহিরে এসেছি। এসময় দেখতে পাই মসজিদের ভিতর থেকে চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনতে পাই। দেখতে পাই মসজিদের বাহিরে যে পানি সেখানে গায়ে আগুন নিয়ে অনেক মুসল্লি গড়াগড়ি করছেন।
তিনি বলেন, ভিতরে দেখতে পাই ৬টি এসি বিস্ফোরিত হয়ে গেছে। প্রায় ৫০-৬০ জন মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছে এবং মুসল্লি ছিল প্রায় ১৫০ জনের মতো। আমি এবং এলাকাবাসীর সহায়তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে রিকসা-ভ্যানে করে ভিক্টোরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি।
এদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল রেড টেপ দিয়ে আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি সদর হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) গিয়েছিলাম, অধিকাংশই ঢাকা মেডিকেলে চলে গেছে। আমি স্বাস্থ্য সচিব এবং কেবিনেট সেক্রেটারিসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে আশ্বস্থ করেছেন যারা গিয়েছে তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। সবাইকে ধৈর্য ধরার এবং দোয়া করার অনুরোধ করবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ঢাকা মেডিকেলে ৩৭ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৩-৪ জনের অবস্থা গুরুতর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বিদ্যুতের লুজ কানেকশন বা গ্যাস লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে। সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করার।
তিনি বলেন, আমাদের টিম রয়েছে ঢাকা মেডিকেলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু জানান, নারায়ণগঞ্জে মসজিদের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৭ জন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৩-৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :