মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও মাঝারি শিল্প খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। ব্যাংকগুলোর এই ঋণ বিতণ না হওয়ায় দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।
[৩] এখন অক্টোবর পর্যন্ত এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। আগে বড় ছোট সব উদ্যোক্তাদের জন্য অগাস্ট পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
[৪] বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতের ঋণ বিতরণের সময় আরও দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করেছে।
[৫] বড় উদ্যোক্তাদের জন্য ঘোষিত ৩৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণের পুরোটা অগাস্ট মাসের মধ্যেই বিতরণ শেষ করে ফেলেছে ব্যাংকগুলো। এই সময় পর্যন্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ পেয়েছেন ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার মতো।
[৬] বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকগুলো আসলে এতোদিন বড় ঋণ বিতরণেই বেশি ব্যস্ত ছিল। সে কারণে ছোট ঋণের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারেনি। ব্যাংকগুলো কিছু বিষয়ে আবেদনও করেছিল। তাদের আবেদন অনুযায়ী ছোট ঋণের ঝুঁকির দায়িত্বও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এ ঋণের নীতিমালার আরও কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
[৭] সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঋণ বিতরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি, কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে।
[৮] সার্কুলারে এ প্যাকেজের ঋণ বিতরণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য গ্রাম ও শহরের জন্য যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তা রহিত করা হয়েছে। এ প্যাকেজের ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ। এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহিতা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :