লিহান লিমা: [২] হংকংয়ের ওপর গত জুন থেকে বিশেষ নিরাপত্তা আইন কার্যকর করেছে চীন। এই আইনে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপন্থী বিক্ষোভ, চীন বিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বিদেশী শক্তির সঙ্গে আঁতাত ও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদÐের বিধান রাখা হয়। ইতোমধ্যেই ২০জনকে এই আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিএনএ
[৩] মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোটিয়ার্স বলছেন, এই আইনে বাক-স্বাধীনতা ও যে কোনো ধরনের সমালোচনা এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে অপরাধ বানানো হয়েছে। যা মৌলিক মানবাধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য হুমকি।
[৪] জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই আইনের সবচেয়ে বিতর্কিত ধারা নিয়েও বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওই ধারায় নিরাপত্তা আইনে দোষী সাব্যস্তদের হংকং থেকে মূলভূমি চীনে নিয়ে বিচার করার বিধান রয়েছে। তারা বলছেন, এই প্রক্রিয়া ন্যায়বিচারকে খর্ব করবে, রাজনৈতিক অধিকার কর্মীদের শাস্তি দেয়ার সুযোগ করে দেবে। সেই সঙ্গে তারা জাতীয় নিরাপত্তা আইনে সন্ত্রাসবাদের ব্যাখ্যা সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা এই আইনের স্বাধীন পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বিবিসি
[৫] মানবাধিকার কর্মী ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আইন ১৯৯৭ সালের ব্রিটিশ-চীন যৌথ ঘোষণার লঙ্ঘন। ৯৯ বছর ব্রিটিশ ঔপনৈবেশে থাকার পর প্রত্যপর্ণের সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে চীন আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত হংকংয়ে আধা-স্বায়ত্তশাসন ও গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :