ইমরুল শাহেদ : এই তথ্য জানিয়েছেন প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম আমাদের দেওয়া তিনটি শর্ত যদি মিশা মেনে নেন তাহলে আমরা তার বয়কট প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করব। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি শর্তগুলো মেনেও নিয়েছেন। তারপরও তার সঙ্গে আমাদের বৈঠকের আলোচনা মাফিক তাকে আমরা শর্তগুলো লিখিতভাবেও দিয়েছিলাম। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদেরকে জবাব দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তিনি তা দেননি। সুতরাং মিশার বয়কটের ব্যাপারে আমাদের পূর্ব সিদ্ধান্তই বহাল আছে।’ কয়েকদিন আগে প্রযোজক পরিবেশক সমিতি থেকে নতুন সাতটি ছবির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চারটি ছবিতেই মিশা সওদাগর ছিলেন। তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু মিশা সওদাগর বয়কটে আছেন সেহেতু তাকে বাদ দিতে হবে। প্রযোজকরা তাতে সম্মতি দিয়েই অনুমোদন নিয়ে গেছেন। খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমরা প্রযোজকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি জায়েদ খান ও মিশা সওদাগর থাকলেই কোনো ছবিকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।’ অপর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আর এক সপ্তাহ পরই মিশা সওদাগর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছেন। ফিরবেন হয়তো ছয় মাস পর। কোনো প্রযোজক তাকে ছবিতে নিলেও ছয় মাসের আগে শিডিউল পাবেন না। তিনি কাজ করেন ‘ডাউন পেমেন্টে’।
একজন চিত্রকর্মী বলেন, তিনি যাদের কাছ থেকে আগাম নিয়ে রেখেছেন এবং কোভিড মহামারীর কারণে ছবির কাজ আটকে গেছে তাদের কী হবে? একজন প্রযোজক বলেন, মিশাকে নিয়ে যারা কাজ কম করেছেন, তারা রিশ্যুট করে বেঁচে যাবেন। কিন্তু যাদের কাজ বেশি হয়েছে তাদের কী হবে? শুধু শুটিং করলেই একটি ছবির কাজ শেষ হয়ে যায় না। ডাবিংয়ের কাজও বাকি থাকে। তবে চলচ্চিত্রশিল্পের বয়কট মাথায় নিয়েই মিশা সওদাগর একটি নাটকে কাজ করেছেন।