শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৫২ সকাল
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৬:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাবরি মসজিদের বিকল্প জায়গায় প্রথমে হাসপাতাল পরে মসজিদ নির্মাণ

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের বিকল্প হিসাবে যে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়। এখন সেই জমিতে মসজিদেরও আগে একটি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই ট্রাস্টের ওপরে ওই জমিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নতুন জায়গাটি বাবরি মসজিদ - রাম মন্দির থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে, ধন্নিপুর গ্রামের একটি সরকারি কৃষি ফার্মে। সেখানে এখনও কৃষিকাজ চলছে, একটি দরগাও রয়েছে।

নতুন পরিসরে মসজিদ যেমন থাকবে, তেমনই তৈরি হবে হাসপাতাল, যৌথ রান্নাঘর এবং ভারতীয়-ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র। ওই ট্রাস্টের সচিব আতহার হুসেন বিবিসি বাংলাকে জানান, "নতুন এই পরিসরটিকে বাবরি মসজিদ বলা হবে না। এর নাম হবে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট কমপ্লেক্স। ওখানে একটি মসজিদ থাকবে ঠিকই, কিন্তু হাসপাতাল, যৌথ রান্নাঘর, একটি ইন্দো-ইসলামিক গবেষণাকেন্দ্র এবং একটি সংগ্রহশালাও থাকবে। ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ইসলামিক সংস্কৃতির মিলন, ভারতীয় সমাজের ওপরে তার প্রভাব - এসব নিয়েই গবেষণা হবে সেখানে,"

মাত্র দুদিন আগেই তারা এই প্রকল্পের স্থপতি হিসাবে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার স্থাপত্য বিভাগের ডিন অধ্যাপক এস এম আখতারকে বেছে নিয়েছেন। আখতার বলেছেন যে নতুন এই পরিসরটি একেবারেই পুরোনো বাবরি মসজিদের মতো দেখতে হবে না। আধুনিক ভবন তৈরি হবে সেখানে।

 

এস এম আখতার বলেন, "স্থাপত্য বিদ্যায় কোনও কিছুই হুবহু নকল হয় না, সবসময়েই নতুন কিছু সৃষ্টি হয়। যা কিছু পুরোনো, তা পুরাতত্বের বিষয় আর আমরা যখন কিছু বানাই, সেটা হয় নতুন সৃষ্টি,"

তিনি আরও বলেন, "তিন গম্বুজওয়ালা যে বাবরি মসজিদের ছবি মানুষের মনে গেঁথে আছে, সেটার মতো কখনই হবে না নতুন জায়গাটি। পুরোনো বাবরি মসজিদের নকল যেমন হবে না, তেমনই মানবিকতা, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ইসলামের মূল চিন্তা - তিনটি বিষয়ই একত্রিত হবে নতুন পরিসরের নকশায়,"

ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সচিব আতহার হুসেন বলছিলেন, তারা চাইছেন করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে অযোধ্যা ফৈজাবাদের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে প্রথমে হাসপাতাল ভবনটি তৈরি করতে।

তিনি বলেন, "সবকটি ভবন তৈরির কাজ একই সঙ্গে চলবে, কিন্তু প্রথমেই হাসপাতালটি চালু করার ইচ্ছা আছে। মহামারির সময়ে হাসপাতালে শয্যার অভাবে কীভাবে মানুষ মারা যাচ্ছেন, সবাই দেখছে। অন্তত একটা জেলার মানুষকে তো বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে হাসপাতালটি চালু হয়ে গেলে!"

ট্রাস্টের সচিব আতহার হুসেন এবং স্থপতি এস এম আখতার দুজনেই বলেছেন যে নতুন পরিসরটিকে তারা একটি ল্যান্ডমার্ক হিসাবে তৈরি করতে চান, যা ভবিষ্যতের আইকন হয়ে উঠবে।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়