সমীরণ রায় : [২] আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নেবে না দলটি। ইতোমধ্যে সারাদেশে বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে জেলা-বিভাগীয় ও উপ-কমিটি এবং সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাহেদ ও পাপিয়াদের মতো কেউ ঢুকলে তার দায়দায়িত্ব কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবকেই নিতে হবে।
[৩] গত বুধবার আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, মহামারীর মধ্যে থমকে যাওয়া দলের সাংগঠনিক তৎপরতা গতিশীল করে সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। সম্মেলন হওয়া কমিটিগুলোর পূর্ণাঙ্গ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রত্যেকে যার যার দায়িত্বটা পালন করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্থ ও অভিযুক্ত কেউ যেন দলে ঢুকতে না পারে।
[৪] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এই প্রতিবেদককে বৃহস্পতিবার বলেন, কোনো বিতর্কিত ও অভিযুক্ত ব্যক্তি সংগঠনের যাতে ঠাই না পায়, সে ব্যপারে দল কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সাহেদ ও পাপিয়াদের মতো আর কেউ দলে আসার কোনো সুযোগ পাবে না। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটি কেন্দ্রীয়ভাবেও মনিটরিং করা হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির যারা চেয়ারম্যান ও সদস্য তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, কোনোভাবেই যেন বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি দলে না ঢুকতে পারে। সম্পাদনা: বাশার নূরু