রায়হান রাজীব : [২] বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে নিমতলী, চুড়িহাট্টা এবং পুরান ঢাকার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয়, চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর ট্রেড লাইসেন্সসহ কারখানা ও রাসায়নিক গুদাম স্থাপনে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স প্রদান বা নবায়ণ বন্ধ থাকলেও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে এবং রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে লাইসেন্স বের করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
[৪] টিআইবি বলছে, সিটি করপোরেশনের অসাধু কর্মকর্তাদের পরামর্শে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে রাসায়নিক শব্দটি বাদ দিয়ে এন্টারপ্রাইজ হিসেবে ট্রেড লাইসেন্স বের করে। লাইসেন্স বের করা কঠিন হয়ে পড়লে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব ব্যবহার করা হয়।
[৫] সংস্থাটির মতে, টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ ছিল, গুদামের সামনের রাস্তায় ছয় দশমিক নয় মিটার প্রশস্ত, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে গুদামের দূরত্ব পাঁচ মিটার না হলে লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। এছাড়া, আবাসিক এলাকা ও ভবন এবং বহুতল ভবনে রাসায়নিক পদার্থ মজুদ করা যাবে না। সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
[৬] যে কোনো দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাসায়নিক বিপর্যয় রোধে জাতীয়ভাবে একটি রাসায়নিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং রাসায়নিক নিরাপত্তা বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নসহ ১০টি সুপারিশ জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।