শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:১৬ সকাল
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতের অর্থনীতি

রাশিদ রিয়াজ : গতবছর প্রথম ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার শহরে অতি দরিদ্র ও কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য ১০০ দিনের কাজ চালুর কথা চিন্তা করে। এবছর কোভিডে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। পরিস্থিতি আরো সংকটজনক বলে আবাসন ও শহর মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, প্রথমে ছোট ছোট শহরগুলিতে ১০০ দিনের কাজ চালু করতে প্রাথমিকভাবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে।

মোদী সরকার চলতি বছরে ভারতের গ্রামে ১০০ দিনের কাজের জন্য ১ লাখ কোটি টাকা খরচ করেছে। ওই প্রকল্পে কোনও শ্রমিক দৈনিক মজুরি পান ২০২ টাকা। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশটির জিডিপি কমেছে ২৩.৯ শতাংশ। ছোট শহরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালুর কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এধরনের প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণ, কুয়ো খনন, বনসৃজন ইত্যাদি কাজ করানো হয়। বর্তমানে ২৭ কোটির বেশি মানুষ ওই প্রকল্পে কাজ পেয়ে থাকেন। যে শ্রমিকরা লকডাউনে কাজ হারিয়েছে তাদের জন্য বিশেষ সহায়ক হচ্ছে ওই প্রকল্প।

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বলছে এপ্রিলে ভারতে বেকার হয়ে পড়েছেন ১২ কোটি ১০ লাখ মানুষ। বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশ। পরে আনলক পর্ব শুরু হলে কেউ কেউ কাজ পেয়েছে। ভারত সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রমনিয়ম জানিয়েছেন অর্থনীতির বিকাশ তলানিতে পৌঁছানোর পরে ফের ঘুর দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। রেলে বেড়েছে পণ্য পরিবহণ। বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে। রেলে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ গত বছর জুলাই মাসের ৯৫ শতাংশে পৌঁছেছে। গত বছর আগস্টের তুলনায় এবছর আগস্টের প্রথম ২৬ দিনে পণ্য পরিবহণ হয়েছে ছয় শতাংশ বেশি। বিদ্যুতের চাহিদাও গত বছরের তুলনায় মাত্র ১.৯ শতাংশ কম।

এদিকে আইএইচএস মার্কেট বলছে ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স জুলাই মাসে উঠেছিল ৪৬ পয়েন্ট পর্যন্ত। আগস্টে তা উঠেছে ৫২ পয়েন্ট। প্রতিষ্ঠানটির অর্থনীতিবিদ শ্রেয়া পটেল বলেন, ভারতের বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যই ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে উৎপাদন বেড়েছে। অর্থনীতির এই সেক্টরে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কোভিড মহামারির মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ডেলিভারি টাইম বেড়েছে।

গত আগস্টে মারুতি-সুজুকির গাড়ি বিক্রি হয়েছে মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৭০৪ টি। ২০১৯ সালের আগস্টে একই কোম্পানির গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৯৪ হাজার ৭২৮ টি। গত মাসে মিনি এবং কমপ্যাক্ট সাব সেগমেন্টের গাড়িই বেশি বিক্রি করেছে মারুতি-সুজুকি। আগস্টে ইউটিলিটি ভেহিকলও ভাল বিক্রি হয়েছে। ২০২০ ভিতারা ব্রেজ্জা, নতুন লঞ্চ করা গাড়ি ২০২০ এস-ক্রস, এরতিগা এবং এক্সএলসিক্স। আগস্টে ইউটিলিটি গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১৩.৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, অবকাঠামো খাতের প্রধান খাতগুলোতে সংকোচনের হার ক্রমশ কমছে। এ খাতে আটটি কোর খাতে উৎপাদন এপ্রিলে কমেছিল ৩৮ শতাংশ। মে মাসে কমেছিল ২২ শতাংশ। জুন মাসে কমেছিল ১৩ শতাংশ। জুলাই মাসে কমেছিল ৯.৬ শতাংশ। লকডাউন সত্ত্বেও প্রথম ত্রৈমাসিকে কৃষি খাতে বিকাশ হয়েছে ৩.৪ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়