শরীফ শাওন: [২] বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত এসকল বিশ^বিদ্যালয়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৯৬টি। নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় ৪১ প্রতিষ্ঠান নবায়নের আবেদনযোগ্যতা হারিয়েছে।
[৩] বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রথম সাত বছর সাময়িক সনদ ও পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচ বছর নবায়নের মাধ্যমে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। এরপর নতুন করে নবায়ন আবেদনের সুযোগ থাকবে না। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ন্যূনতম এক একর এবং অন্যান্য এলাকায় কমপক্ষে দুই একর অখÐ জমি থাকতে হবে।
[৪] সচল বিশ্ববিদ্যালয়গুলের মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান নবায়নের আবেদন করেছে। তিনটি প্রতিষ্ঠান স্থীয়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়েছে। ২৬টি প্রতিষ্ঠানের সাময়িক মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তবে, ৩৫টি বিশ^বিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরো বা আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে গড়িমসি করছে ৩৫টি বিশ^বিদ্যালয়।
[৫] ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, অনেকেই নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। অনেক প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ক্যাম্পাস দুরে থাকায় ভাড়া বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও অনেকে গড়িমসি করছে। করোনা মহামারির কারণে এসকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। আশা করি দুই-তিন মাসের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে। অন্যথায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
[৬]বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, মহামারিতে প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত। এখন অর্থণীতি পুনরাদ্ধারে ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ইউজিসির জোর দেয়া উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :