রাঙামাটি প্রতিনিধি : [২] রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সম্মানিত মহিলা ভাইস চেয়রাম্যান কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন। লিখিত বক্তব্য বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্নকারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলামকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে উক্ত শূণ্যপদে পূর্ন নির্বাচন দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কান্তি চাকমা. এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন,সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান সহসম্পাদক আনোয়ার হোসেন কায়সার,মেঝবাহ উদ্দীন সাবেক প্রচার সম্পাদক ও মোসলেহ উদ্দীন সহ-সম্পাদক ।
[৩] ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, বিগত ১৯/০৮/২০২০ ইং তারিখ আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় ভাড়াটিয়া সম্মানিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলামের বাসায় রাত প্রায় ১২.৩০ ঘটিকায় কিছু অনতিপ্রেত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।উক্ত কথিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্মানিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিগত ২৯/০৮/২০২০ ইং সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন এবং লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে জড়িয়ে যে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে সহ ছাত্রলীগকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করা হয়েছে মর্মে আমাদের বিশ^াস। সংবাদ সম্মেলনের সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ ছাত্র লীগ রাঙামাটি জেলা শাখার দৃষ্টিগোচরে এসেছে এবং উক্ত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য হস্তগত হয়েছে।
[৪] যদিও তিনি সংবাদ সম্মেলনে বর্ণিত বিষয়ে লিখিতভাবে তিনি রাঙামাটি জেলা শাখার নিকট অভিযোগ করেন নি তথাপি একটি দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীদের বিষয়ে যেহেতু অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে সেহেতু অত্র সংগঠনের পক্ষ হতে কথিত ১৯/০৮/২০২০ ইং তারিখে ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
[৫] ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আরো বলেন.প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে সম্মানিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম একজন স্বামী পরিত্যক্ত হন। তিনি আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় একজন ভাড়াটিয়া। পক্ষান্তরে তিনি নিজেকে বাড়ির মালিক হিসেবে দাবী করেন। যা সবৈব মিথ্যা, তিনি আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নেবার পর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য নন্দিত। যার কারণে এলাকাবাসী সংক্ষুব্ধ।
[৬] নাসরিন ইসলাম একজন জনপ্রতিনিধি। তার নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যালয় এবং অফিস কর্ম সময় রয়েছে। এমতাবস্থায় রাত্রি বেলায় নিজ দাপ্তরিক কার্যালয় ও দাপ্তরিক কর্ম সময় ব্যতিরেখে নিজ বাস ভবনে উনার কথিত মতে জনাব নুরুল আলম (নৈতিক স্খলনজনিত কারণে ছাত্রলীগ হতে বহিস্কৃত) এর সাথে টিউবওয়েল বরাদ্দের মতো জরুরী কর্ম সম্পাদনের মিটিং কোন নৈতিক ও যৌক্তিক মানদন্ডে গ্রহণযোগ্য হতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের প্রশ্ন উক্ত জনাব নুরুল আলম রাঙামাটি সদর উপজেলার কোন ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব করেন? উক্ত নাসরিন ইসলাম কি পৌর এলাকায় টিউবওয়েল বরাদ্দ দেয়ার ক্ষমতা রাখেন কিনা?
সম্পদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :