জাকির হোসেন : [২] ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং বৌরচুনা ইউনিয়নের ভবানীপুর সল্লাপাড়া গ্রামে শিকল বন্দি হয়ে ২০বছর জীবনযাবন করছেন মুক্তারুল নামে এক সন্তানের জনক। এক ছেলে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাবন করছেন তার স্ত্রী নাসেরা বেগম। তারা এখন পর্যন্ত পায়নি কোন সরকারি সহায়তা। স্থানীয় চেয়ারম্যান বললেন আমি জানিনা সে শিকল বন্দি আছে এত বছর ধরে।
[৩] বিয়ের ২ মাসের মধ্যে ২০ বছর বয়সে হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে মুত্তারুল । এরপর চিকিৎসা করা হলে কিছুদিন সুস্থ থাকার পর আবার আগের মতো অসুস্থ হয়। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে আর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি মুক্তারুলের। তার বয়স বর্তমানে ৪০ বছর।
[৪] ২০ বছর ধরে পায়ে শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে বারান্দার খুঁটির সাথে। টাকার অভাবে এক সন্তানকে নিয়ে করুন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তার স্ত্রী নাসেরা বেগম। মানুষের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে চলে তার সংসার।
[৫] তার স্ত্রী নাসেরা বেগম জানান, অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারেনি। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গত কয়েক বছর থেকে সে এলাকাবাসীর বিভিন্ন লোকসান করে। কারো গরু ছাগল মারধর, মানুষ মারধর, অনেকের সবজি ক্ষেত নষ্ট করে। মেয়ে মানুষ দেখলে জাপটে ধরার চেষ্টা করে এমনকি নিজের পরিবারের লোকজনদের কাছে পেলে আঘাত করার চেষ্টা করে। এ জন্যই পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে।
আপনার মতামত লিখুন :